কিছুদিন আগেই বিসিসিআইয়ের উপর ফেমার উলঙ্ঘন করার অভিযোগ ১২১ কোটি টাকার জরিমানা হওয়ার পর, মাদ্রাস হাই কোর্ট চেন্নাই সুপার কিংসের ফ্রেঞ্চাইজি ইন্ডিয়া সিমেন্টের যাচিকাও খারিজ করে দিয়েছে। আইপিএল থেকে ২ বছর নিষিদ্ধ থাকার পর ২০১১য় ফের তারা ফিরে এসেছিল। তাদের আইপিএলে ফিরে আসা এতটাই দারুণ ছিল যে পুরো আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসেরই চর্চা হতে থাকে, আর তারা আইপিএল খেতাবও নিজের নামে করে নেয়। মঙ্গলবার মাদ্রাস হাইকোর্ট, বিদেশি মুদ্রা প্রবন্ধন অধিনিয়ম (ফেমা) এর কথিত উলঙ্ঘনের মামলায় ইডির তরফে জারি করা সমনকে চ্যালেঞ্জ জানানো আইপিএল দল চেন্নাই সুপার কিংসের ফ্রেঞ্চাইজি ইন্ডিয়া সিমেন্টের পুনর্নিরিক্ষণ যাচিকা খারিজ করে দিয়েছে।
জেনে নিন ফেমা কি?
ফেমার গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হল বিদেশি মুদ্রা সম্পর্কিত সমস্ত আইনের সংশোধন এবং একীকরণ করা। এছাড়াও ফেমার লক্ষ্য হল দেশে বিদেশি ভুগতান করা এবং ব্যবসাকে বাড়ানো, বিদেশি পুঁজি আর নিবেশকে দেশে বাড়ানো, যাতে উদ্যোগিক বিকাশ আর নিজাতকে বাড়ানো যায়। ফেমা ভারতে বিদেশি মুদ্রা বাজারের দেখভাল এবং শুধারোনোকে উৎসাহ দেওয়া। ন্যায়মূর্তি কে কে শশিধরণ এবং ন্যায়মূর্তি আর সুব্রক্ষ্মনিয়াম এর ডিভিসন বেঞ্চ দুই মার্চ ২০১৭য় ন্যারমূর্তি বি রাজন্দ্রনের সিঙ্গল বেঞ্চের দেওয়া রায়কে বহাল রেখে ইন্ডিয়া সিমেন্টের যাচিকাকে খারিজ করে দেয়।
ওই সিঙ্গল বেঞ্চ চার নভেম্বর ২০১৬য় নিজের রায়ে ইডির তরফে জারি করা সমন নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে মানা করে যাচিকা দায়েরকর্তাকে ২৪ নভেম্বর ২০১৬য় ইডির সামনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেয়। ইন্ডিয়া সিমেন্টের কার্যকরী অধ্যক্ষ টি এস রঘুপতি এবং উপাধক্ষ্য ( বিত্ত এবং কর) আর হরিহর সুব্রক্ষ্মনিয়াম ফেমা উলঙ্ঘন মামলায় কোম্পানির প্রবন্ধ নির্দেশক এবং বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এন শ্রীনিবাসন আর অন্য বড় আধিকারিকদের তদন্তের জন্য উপস্থিত সম্বন্ধিত ইডির সমনকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিল।
২০০৯ এ চেন্নাই সুপার কিংস দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়োজিত আইপিএল ম্যাচ চলাকালীন ফেমার কথিত রূপে উলঙ্ঘন করেছিল। যার পর থেকেই এই মামলায় হেয়ারিং চলছিল। সম্প্রতিই ইডি বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এন শ্রীনিবাসন, প্রাক্তন আইপিলে কমিশনার ললিত মোদি, এবং অন্য আধিকারিকদের উপর ২০০৯ এ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ সংস্করণ চলাকালীন ফেমা আইনের উলঙ্ঘনের অভিযোগে ১২১ কোটি টাকার জরিমানা করেছিল।