হর্ষ গোয়ঙ্কা। বিশিষ্ট উদ্য়োগপতি ও আইপিএল ফ্র্য়াঞ্চাইজি রাইজিং পুনে সুপার জায়ান্টসের মালিক সঞ্জীব গোয়াঙ্কার ভাই। অবশ্য় হর্ষকে লোকে অন্য় পরিচয়েও চেনে। আরপিজি এন্টারপ্রাইজের চেয়ারম্য়ান।
এদিকে, রবিবার লর্ডসে আইসিসি মহিলা বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্য়ান্ডের কাছে হেরেছে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। কিন্তু, হারলেও মিতালি রাজদের পারফরমেন্সে দারুন খুশি ভারতসহ গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। ব্য়াতিক্রমী নিন্দুকতো থাকবেই। সেটা নগন্য়। বিশ্বকাপের ফাইনালের পর ভারতের মেয়েদের কুর্নিশ জানাতে সবাই ট্য়ুইটারকে বেছে নেন। আর সেই দলে সামিল হর্ষ গোয়েঙ্কাও।
হর্ষ গোয়েঙ্কার ট্য়ুইট, “ভারত বনাম ইংল্য়ান্ড। কি দারুন পারফর্ম করল ভারত। আমরা হারলাম স্নায়ুর চাপটা শেষ পর্যন্ত নিতে না পারার কারণে। তবে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল যে সাহসী পারফরমেন্স দেখিয়েছে, তার জন্য় আনন্দ পাওয়া উচিত।“
#INDvENG what an amazing performance by India. We lost because of sheer loss of nerves. Let us celebrate our gallant women’s performance.
— Harsh Goenka (@hvgoenka) July 23, 2017
হর্ষের মতে, ভারতীয় মহিলা দল স্নায়ুর লড়াইটা সামলাতে না পারার কারণেই ম্য়াচটা খোয়ালো। দলে অনেক তরুণ খেলোয়াড় রয়েছে। আর বিশ্বকাপের ফাইনালের মতো বড় ম্য়াচে স্নায়ুর চাপ সামলানো সহজ কাজ নয়। ওরকম চাপ সামলানোর মত অভিজ্ঞ ক্রিকেটার দলে খুব কম রয়েছে। তাই ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল যে ফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিল, তার জন্য় সবার গর্ব হওয়া উচিত বলে গোয়াঙ্কা মনে করেন।
হর্ষের এই ট্য়ুইট পড়ার পর ওয়াকিবহল মহল বলছে, বহুদিন পর গোয়েঙ্কা পরিবার থেকে কোনও ইতিবাচক কথা বলা হল। আইপিএল ক্রিকেটে তাঁদের দল থেকে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানোর পর সমালোচনায় পড়তে হয়েছে। ট্য়ুইটারে তাঁরাও খুব একটা ভালো ইঙ্গিত দেননি মাহিকে নিয়ে। ফলে, ভারতীয় মহিলা দলের পারফরমেন্স নিয়ে হর্ষের এই ট্য়ুইট সাড়া ফেলেছে।
২০০৫-এর পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল। ফাইনাল ম্য়াচে প্রথমে ব্য়াট করে ২২৮ রান তোলে ইংল্য়ান্ড। ৫০ ওভারের খেলায় ভারত এরপর রান তাড়া করতে নেমে ২১৯ রানে শেষ হয়ে যায়। ওপেনার স্মৃতি ও অধিনায়িকা মিতালি রাজ চটপট ফিরে গেলেও বেশ টানছিলেন সেমিফাইনাল ম্য়াচের নায়িকা হরমনপ্রীত ও ওপেনার পুনম। কিন্তু, অভিজ্ঞতা কম থাকায় হাইভোল্টেজ ম্য়াচে হঠকারী শট নিয়ে কয়েকটা আউট ম্য়াচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ৯ রানে ম্য়াচটি ইংল্য়ান্ড জিতে নিলেও বরাবরই ভারত ম্য়াচের মধ্য়ে ছিল। স্নায়ুর চাপটা নিতে না পারাতেই এমনটা হল ম্য়াচের পর মেনে নিয়েছেন মিতালিও।
তবে, ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল গোটা টুর্নামেন্টে যা পারফরমেন্স দেখিয়েছে, তাতে বলতেই হয় ঠিক দিকেই এগোচ্ছে ভারতে মহিলা ক্রিকেটের ভবিষ্য়ত। সেদিন আর বেশি দূরে নেই যেদিন ভারতের মেয়েরা বিশ্বকাপকে নিজেদের বলে স্পর্শ করবে। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট টিমও কপিল আর ধোনির দলের মতো ইতিহাসের পাতায় নাম লেখাবে বিশ্ব চ্য়াম্পিয়ন হয়ে।