ভারতীয় ওয়ানডে আর টি-২০ দলের ওপেনিং ব্যাটসম্যান শিখর ধবনের ব্যাট দীর্ঘদিন ধরে শান্ত। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করার পর তিনি টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন। ওয়েস্টইন্ডিজ সফরে তার দলে প্রত্যাবর্তন হয় আর তারপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও তিনি টি-২০ সিরিজ খেলেন, কিন্তু তার ব্যাট প্রত্যাশা অনুযায়ী চলেনি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও প্রথম ম্যাচে তিনি বিশেষ কিছুই করতে পারেননি।
শিখর ধবনের উপর প্রশ্ন উঠবে
প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক আর তারকা ব্যাটসম্যান সুনীল গাভাস্কারের মতে শিখর ধবন আগামী দুটি ম্যাচে ভালো না প্রদর্শন করলে তার উপর প্রশ্ন উঠবে। ২০১৩ থেকে ধবন নিয়মতভাবে দলের ওপেনিং ব্যাটসম্যান থেকেছেন। গাভাস্কার একটি ইন্টারভিউতে বলেছেন,
“শিখর ধবনের উপর প্রশ্ন তোলা হবে যদি ও আগামী ২টি ম্যাচে ভালো ব্যাটিং না করেন। যদি আপনি ৪০-৪৫ বল খেলে তুটাই রান বানান তো দলের কোনো ফায়দা হবে না। ওকে এই ব্যাপারে ভাবতে হবে। যখন খেলোয়াড় দীর্ঘ সময় পর প্রত্যাবর্তন করেন তো ছন্দ ফেরত পেতে যথেষ্ট সময় লাগে”।
আগেও শান্ত ছিল ব্যাট
বিশ্বকাপের আগেও শিখর ধবনের ব্যাট বিশেষ কিছুই চলেনি। গত বছর এশিয়া কাপে তাকে প্লেয়ার অফ দ্যা টুর্নামেন্টের খেতাব দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তারপর ওয়েস্টইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে তিনি বিশেষ কিছুই করতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়াতেও ওয়ানডে সিরিজে তার ব্যাট চলেনি কিন্তু নিউজিল্যান্ডে তিনি বেশকিছু ভালো ইনিংস খেলেছেন। আইপিএলের আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ঘরোয়া ওয়ানডে সিরিজের ৫ ম্যাচে ১৪৩ রানের ইনিংস ছেড়ে দিলে তার ব্যাট থেকে ০,২১,১ আর ১২ রান বেরিয়েছিল।
টি-২০তে খারাপ ফর্ম
২০১৮য় টি-২০ আন্তর্জাতিকে শিখর ধবন ১৭টি ইনিংসে ৪০.৫৩ গড়ে আর ১৪৭ স্ট্রাইকরেটে ৬৮৯ রান করেছিলেন। টি-২০ আন্তর্জাতিকের ক্যালেণ্ডার ইয়ারে যে কোনো ভারতীয় ব্যাটসম্যান দ্বারা করা এটা সবচেয়ে বেশি রানও ছিল। এই বছর তার প্রদর্শনে যথেষ্ট পড়তি এসেছে। ১০টি ইনিংসে ২২.২০ গড়ে আর ১০৯.৩৬ স্ট্রাইকরেটে তার ব্যাট থেকে ২২২ রান বেরিয়েছে। এর মধ্যে কোনো হাফসেঞ্চুরিও নেই। বেশ কিছু তরুণ ওপেনিং ব্যাটসম্যান দলে জায়গা করার জন্য দাবীদারী পেশ করছেন এই অবস্থায় আগামী মাসে ৩৪ বছরের হতে চলা ধবনের ফর্মে ফেরা জরুরী।