বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষ যথেষ্ট সমস্যায় পড়েছে। এখনো পর্যন্ত এই ভাইরাসের কারণে ১.১৩ লাখ মানুষ নিজেদের প্রাণ হারিয়েছেন, অন্যদিকে ১৮.৩৫ লাখ মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। ক্রিকেটও এই ভাইরাসের কারণে যথেষ্ট প্রভাবিত হয়েছে। এর মধ্যেই পাকিস্তানের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে করোনা আক্রান্ত রোগী আর ডাক্তারদের গান গাইতে দেখা যাচ্ছে। এই ভিডিয়োটি গৌতম গম্ভীর শেয়ার করেছেন।
গৌতম গম্ভীর করছেন ভিডিয়ো শেয়ার
ভারতে এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ৯১৫২ জন রোগী পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে ৩০৮জন মানুষ নিজেদের প্রাণ হারিয়েছেন। অন্যদিকে ৮৫৭জন মানুষ এই রোগ থেকে ঠিক হয়ে গিয়েছেন। ভারতে এই মুহূর্তে ২১ দিনের লকডাউন চলছে। অন্যদিকে পাকিস্তানে এখনও পর্যন্ত ৫৩৭৪জন রোগী পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে ৯৩জন মানুষ নিজেদের প্রাণ হারিয়েছেন। অন্যদিকে ১০৯৫জন মানুষ এই রোগ থেকে সুস্থ হয়েছেন। এর মধ্যেই পাকিস্তানের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হচ্ছে। যেখানে করোনা রোগীরা আর ডাক্তাররা চিট্টা চোলা নামের একটি গান গাইছেন। এই ভিডিয়ো দ্রুত ভাইরাল হচ্ছে। এই ভিডিয়োটি শেয়ার করে গৌতম গম্ভীর লিখেছেন যে, “করোনা যেখানেই থাকো শুনে নাও চিট্টা চোলা”।
মানুষকে সাহায্য করছেন গৌতম গম্ভীর
সম্প্রতিই গৌতম গম্ভীর নিজের সাংসদ তহবিল থেকে ৫০ লাখ টাকা দিয়েছেন। তার আগে ভারতীয় দলের এই প্রাক্তন ওপেনার প্রধানমন্ত্রী রিলিফ ফাণ্ডে ৫০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। গৌতম গম্ভীর এরপর সাংসদ তহবিল থেকে ১ কোটি টাকা আর নিজের এক মাসের মাইনেও দান করেছুলেন। যারপর এখন এই তারকা সাংসদ হিসেবে নিজের আগামী ২ বছরের স্যালারিও দান করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অন্যদিকে বাকি ভারতীয় খেলোয়াড়দের কথা বলা হলে এখনো পর্যন্ত বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, শচীন তেন্ডুলকর,মিতালি রাজ আর সুরেশ রায়নাও সাহায্যের জন্য অর্থ দান করেছেন। এছাড়াও এই তালিকায় মহেন্দ্র সিং ধোনি, পুণম যাদব, যুবরাজ সিং আর হরভজন সিংয়ের নামও রয়েছে।
Corona….जहां भी हो सुन लो 😂😂 चिट्टा चोला !! #nayapakistan pic.twitter.com/BVUznyxEW5
— Gautam Gambhir (@GautamGambhir) April 12, 2020
বর্তমান সময়ে বন্ধ রয়েছে ক্রিকেট
এই ভাইরাসের কারণে ক্রিকেট এখন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সমর্থকদের আশা ছিল যে আইপিএল ২০২০ খেলা হবে। কিন্তু এই ভাইরাসের কারণে এখন আইপিএলও সংকটে রয়েছে। কিছু রিপোর্টের কথা মানা হলে এখন এই টুর্নামেন্ট বাতিলও করা হতে পারে। তবে বিসিসিআই এই টুর্নামেন্ট করার যথেষ্ট সম্ভব নিয়মিত চেষ্টা করে চলেছে। এখনো আরো বেশকিছু সিরিজের উপরও এই ভাইরাসের সংকট রয়েছে।