ভারতের প্রাক্তন ওপেনার গৌতম গম্ভীর যিনি বিশ্বকাপ ২০১১ সালে ভারতের শিরোপা জয়ের জন্য মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন, তিনি বুঝতে পারেন না যে এই শিরোপা জয়ের দশ বছর পূর্ণ হতে চললেও কেন মানুষ এখনও এই বিষয়ে আগ্রহী? ২ এপ্রিল ২০১১, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলা গম্ভীর ভারতের জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন এবং তিনি ৯৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। তারপরে তত্কালীন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি অপরাজিত ৯১ রান করেছিলেন ও দলকে ফাইনালে জয় এনে দিয়েছিলেন।
বর্তমানে বিজেপির সাংসদ সদস্য গম্ভীর পিটিআইকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাত্কারে বলেছেন, “দেখে মনে হয় না গতকালের কথা। অন্তত আমার ক্ষেত্রে তা নয়। এটি এখন ১০ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। আমি এমন একজন যে পিছনে ফিরে খুব বেশি তাকাই না। অবশ্যই এটি একটি গর্বের মুহূর্ত ছিল তবে এখন সময় এসেছে ভারতীয় ক্রিকেটের সামনে এগিয়ে যাওয়ার। সম্ভবত সময় এসেছে আমাদের পরবর্তী বিশ্বকাপ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জয়ের।” তবে গম্ভীরের এই মন্তব্যের পর প্রশ্ন উঠেছে কীভাবে একজন তার ক্রিকেট কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় দিনটির বিষয়ে এত উদাসীন হতে পারেন?
গম্ভীর বলেছেন, “আমিও এরকমই।” গম্ভীরের বিশ্বাস, টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া খেলোয়াড়রা তাদের সেরা দায়িত্ব পালন করে এবং সেরা দায়িত্ব পালন করায় অতীতের বিশ্বকাপ জয়ের প্রতি মানুষের খুব বেশি আগ্রহী হওয়া উচিত নয়। টি- ২০ বিশ্বকাপ ২০০৭ সালের ফাইনালে ভারতের জয়ের টপ স্কোরার গম্ভীর বলেছেন যে, “২০১১ সালে আমরা এমন কিছু করিনি যা আমাদের করা উচিত হয়নি। আমাকে বিশ্বকাপ খেলতে নির্বাচিত করা হয়েছিল, আমাদের বিশ্বকাপ জয়ের কথা ছিল। যখন আমরা নির্বাচিত হয়েছিলাম আমরা কেবল টুর্নামেন্টে খেলতে নির্বাচন করা হয়নি, আমরা জিততে নেমেছিলাম।”
তিনি আরও বলেছেন যে, “আমার এখন এই বিষয়ে তেমন কোনও অনুভূতি নেই। আমরা কোনও অসাধারণ কাজ করিনি, হ্যাঁ আমরা দেশকে গর্বিত করেছি, মানুষ খুশি হয়েছিল, এখন সময় এসেছে আগামী বিশ্বকাপের দিকে মনোনিবেশ করার।” গম্ভীর মনে করেন যে ধারাবাহিকভাবে বিশ্বমানের খেলোয়াড় দেওয়া সত্ত্বেও বড় বড় প্রতিযোগিতায় ভারত সীমিত সাফল্য অর্জন করেছে। কারণ ‘পিছনে ফিরে তাকানো’ হতে পারে। তিনি বলেছেন, “আমরা যদি ২০১৫ বা ২০১৯ সালে বিশ্বকাপ জিততে পারি, তবে সম্ভবত ভারত বিশ্ব ক্রিকেটে একটি সুপার পাওয়ার হিসাবে বিবেচিত হত। এটি ১০ বছর হয়ে গিয়েছে এবং আমরা অন্য কোনও বিশ্বকাপ জিততে পারিনি। তাই আমি অতীতের সাফল্য সম্পর্কে খুব আগ্রহী নই।”