ভারতে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলাটির নাম ক্রিকেট। ছোটবেলা থেকে এদেশে অধিকাংশ ছেলেই স্বপ্ন দেখে বড় হয়ে শচীন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, মহেন্দ্র সিং ধোনি কিংবা বিরাট কোহলির মত বড় মানের ক্রিকেটার হওয়ার। বড় ক্রিকেটার হওয়ার পথে ক্রিকেট মাঠে এই সব ক্রিকেটারদের প্রায়শোই নানান দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়েছে। তবে, শচীন, কোহলি হয়ে উঠতে গিয়ে এমন দুর্ঘটনার শিকার হতে হবে, তা হয়তো অনেকেই কল্পনা করে উঠতে পারেননি। এবারের ঘটনাটা শুনলে অবশ্যই অবাক হয়ে যেতে হবে। শুধুমাত্র সতীর্থদের চেয়ে ভালো খেলোয়াড় হওয়ার মূল্য জীবন দিয়ে চোকাতে হল ২১ বছরের শুভম গৌতমান। দলের দু’জন সতীর্থই তাকে মেরে ফেলে।

ঘটনায় জানা গিয়েছে, কর্ণাটকের হুবলি অঞ্চলের বাসিন্দা শুভম, যে একজন উঠিত প্রতিভাবান ফাস্ট বোলার। নিজের বোলিং দক্ষতায় স্থানীয় এলাকায় তো বটেই, পাশাপাশি অনান্য অঞ্চলেও বেশ পরিচিতি পাচ্ছিলেন। এদিক-ওদিক থেকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় খেলারও ডাক আসছিল তার কাছে।
এখানে দেখুনঃ ব্যাট দিয়ে খুন করা হল এই ভারতীয়কে!
সম্প্রতি ব্যাঙ্গালোরে একটি টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ আসে এই উঠতি তরুণ ক্রিকেটারটির কাছে। সেই সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়নি শুভম। কিন্তু সে একা একা ব্যাঙ্গালোরে যেতে চাইছিল না। সেই জন্য শুভম স্থানীয় দু’জন সতীর্থকে সঙ্গে নেন। যার মধ্যে একজন আবার স্থানীয় এক এমএলএ’র ছেলে। আর তাদেরকে সঙ্গে নেওয়ার খেসারত যে তাকে জীবন দিয়ে দিতে হবে, তা কেউই কল্পনাও করতে পারেনি।
জানা গিয়েছে, এই দুই ‘বন্ধু’কে সঙ্গে করে প্রাইভেট বাসে করে ব্যাঙ্গালোরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় শুভম। একটি সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, খাবার খাওয়ার সময় ওই দু’জন শুভমকে হত্যা করে। তারপরে নিজেদের অপরাধকে ঢাকতে শুভমকে তারা আবার হাসপাতালেও ভর্তি করে দেয়। ইতিমধ্যে এই দু’জনের কীর্তিকলাপের খবর পৌঁছে যায় কর্ণাটকের সেই এমএলএ’র কাছে। গুনধর ছেলে এবং তার সঙ্গীকে বাঁচানোর জন্য এবার আসরে নামেন সেই এমএলএ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বিকৃত করার জন্য নিজের প্রভাব খাটান বলে অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
আরোও দেখুনঃ এবার অন্য এক অবতারে দেখা যাবে এস শ্রীসন্থকে!
এদিকে একজনকে মেরে ফেলার পরেও, তেমন কোনও হেলদোল ছিল না দুই অভিযুক্তের। তারা শুভমের দেহ হাসপাতালে ফেলেই সেই টুর্নামেন্টে খেলতে চলে যায়।
কর্ণাটকের এক প্রত্যন্ত গ্রামের একটি প্রতিভাবান ক্রিকেটারের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটার পরেও সংবাদ মাধ্যমের এই রমরমার বাজারেও আশ্চর্যজনকভাবে এই হত্যাকান্ড নিয়ে তেমন কোনও হৈ চৈ হয়নি। তবে, যারা এই ঘটনাটি সম্পর্কে ওয়াকিবহল তারা এখন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে অনান্যদের এই খবর জানানোর পাশাপাশি, দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির আবেদন করছেন।