হাসপাতালেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন বাংলার এই অলরাউন্ডার ক্রিকেটারটি! 1

দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। অবশেষে সোমবার সবাইকে ছেড়ে পরলোকগমন করলেন বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার তপন জ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩। মৃত্যুকালে তিনি রেখে গেলেন স্ত্রী এবং দুই কন্যাকে। এদিন ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের তরফ থেকে এই হৃদয় বিদারক খবরটি ঘোষণা করা হয়।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে বড় ধাক্কা, মারা গেলেন এই ভারতীয় ক্রিকেটারের দাদু!

মস্তিষ্কে রক্ষক্ষরণ হওয়ায় পূর্বাঞ্চলের এই অলরাউন্ডার ক্রিকেটারটিকে কয়েক মাস আগে কলকাতার একটি নামী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার পর থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমে অবনতি ঘটে। তার মধ্যিখানে তপন কোমায় চলে যান। সোমবার তাঁর শারীরিক অবস্থার দারুণভাবে অবনতি ঘটতে থাকে । শেষমেশ চিকিৎসকদের যাবতীয় চেষ্টা ব্যর্থ করে সকালে এগারোটা নাগাদ সেই হাসপাতালেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোকের ছায়া গোটা বাংলা জুড়ে। এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সিএবি-র তরফ থেকে জানানো হয়েছে, “মস্তিকের রক্তক্ষরণ নিয়ে কয়েক’মাস আগে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। গত রবিবার রাতে তিনি কোমায় চলে যান। আর এদিন সকাল ১১টা নাগাদ তিনি আমাদের সবাইকে কাঁদিয়ে চিরতরে না ফেরার দেশে চলে গেলেন।”

https://bengali.sportzwiki.com/6501/ct-dhoni/

কানপুরে বড় হওয়া এই ক্রিকেটারটি বাংলার হয়ে ১৮টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। ব্যাট হাতে ২১৭ রানের পাশাপাশি বল হাতে ৪৭টি উইকেটও তুলেছিলেন এই ক্রিকেটারটি। ডান হাতে ব্যাটিং করার পাশাপাশি মিডিয়াম ফাস্ট বোলিং করে সেই সময় প্রতিপক্ষ দলের কাছে রীতিমতো ত্রাস হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। ১৯৬৫-৬৬ মরশুমে খেলা শুরু করা এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারটি ১৯৮২-৮৩ সালে ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে ফেলেন।

তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলার আরেক প্রাক্তন ক্রিকেটার রাজু মুখার্জি এদিন বলেন, “তপন সত্যি একজন দারুণ ক্রিকেটার ছিল। ভালো ব্যাটিং, বোলিংয়ের পাশাপাশি দারুণ ফিল্ডিংটাও করে দিত।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলার ক্রিকেটের সঙ্গে প্রায় ৫০ বছর যুক্ত ছিল সে। বাংলার হয়ে ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি কোচ এবং নির্বাচকের ভুমিকা দারুণভাবে পালন করেছিল। ওর সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে।”

ভারতীয় মহিলা দলের পেসার ঝুলন গোস্বামী বলেন, “টি জে স্যার আমাদের সবার খুব প্রিয় ছিলেন। তিনি আমাদের দলের কোচ ছিলেন। এবং তিনি খুবই ভদ্র মানুষ ছিলেন। ওনাকে নিয়ে একটি ঘটনা আমার মনে আছে। একদিন খাওয়া দাওয়ার পর উনি আমাকে একটা মিস্টি খেতে দিয়েছিলেন। এবং জানিয়েছিলেন, খাওয়ার পর তিনি নিজেও মিষ্টি খেতে খুব পছন্দ করেন। আর সেটা নাকি একটা দলীয় আচরণবিধির মতো।”

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *