প্রিয় অভিনেত্রীর নাম জিজ্ঞেস করা হলে, লজ্জা পেয়ে বুমরাহ যা বললেন দেখে নিন! 1

শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধ সিরিজ নির্ণায়ক ম্য়াচে দলের জয়ে বল হাতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন ভারতের তরুণ পেস বোলার জসপ্রীত বুমরাহ। ব্য়াটহাতে হিটম্য়ান অ্য়ান্ড আইসম্য়ান জোড়ি ক্লিক করার আগে তেইশ বছরের এই তরুণ বোলারটিই তাঁদের জন্য় পথ গড়ে দেন ২১৭ রানে শ্রীলঙ্কাকে অলআউট করে। ম্য়াচে পাঁচ উইকেট দখল করেন বুমরাহ। ম্য়াচের পর তৃতীয় ওয়ান-ডে’র দুই নায়ককে নিয়ে বিসিসিআই টিভি’তে একটি ইন্টারভিউ সেশনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে রোহিত সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন বুমরাহ’র। আর মাঝেমঝ্য়েই ছুঁড়ে দিচ্ছিলেন মজাদার কিছু বক্তব্য় আর প্রশ্ন।

প্রিয় অভিনেত্রীর নাম জিজ্ঞেস করা হলে, লজ্জা পেয়ে বুমরাহ যা বললেন দেখে নিন! 2
রোহিতের একটি প্রশ্ন শুনে ভীষণ লজ্জা পেয়ে যান বুমরাহ। কোনও রকমে এড়িয়ে যান ভারতীয় দলের এই তরুণ সদস্য়। হিটম্য়ান বুমরাহকে তাঁর পছন্দের সিনেমার নায়িকার কথা জানতে চান। আর তা লাজুকভাবে এড়িয়ে গিয়ে ওসব প্রশ্ন না করে ক্রিকেট নিয়ে প্রশ্ন করতে বলেন তিনি। ক্রিকেট মাঠে বল হাতে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা ভারতীয় পেস বোলারটি স্বভাবতই খুব লাজুক। বলেন, ”এই প্রশ্নটা ম্য়াচের সঙ্গে মোটেই মানানসই নয়।”
একদিনের সিরিজের আগে টেস্ট সিরিজে শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করেছে ভারত। ভারতের টেস্ট দলে ছিলেন না বুমরাহ। ফলে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারতীয় দলের পেস বিভাগের দায়িত্ব নেওয়ার আগে ভালো মতো বিশ্রাম পেয়েছেন তিনি। পুরো সময়টা পরিবারের সঙ্গেই কাটিয়েছেন। চ্য়াম্পিয়ন্স ট্রফির পর শ্রীলঙ্কায় আবার মাঠে নামলেন বুমরাহ। ”ভারতীয় দলে খেলা মানে লম্বা ছুটি একেবারেই নেই। কারণ, সারা বছর ঠাসা ক্রীড়সূচি থাকে। তাই একটা ছুটি পেলে ভালোলাগে। পরিবারের সঙ্গে বেশ ভালো সময় কাটালাম। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে ফিরলে এনার্জি লেভেল আবার আগের জায়গায় চলে আসে। পারফর্ম করার খিদেটা আবার চলে আসে।”

প্রিয় অভিনেত্রীর নাম জিজ্ঞেস করা হলে, লজ্জা পেয়ে বুমরাহ যা বললেন দেখে নিন! 3
পাল্লেকেলেতে তৃতীয় একদিনের আন্তর্জাতিক ম্য়াচে নতুন বলে বুমরাহকে খেলতে একেবারে হিমশিম খেয়েচেন শ্রীলঙ্কান বোলাররা। অথচ, দ্বিতীয় একদিনের ম্য়াচটিও ওই একই মাঠে খেলা হয়েছিল। সেখানে কিন্তু পিচ থেকে কোনওরকম সহায়তা পাননি তিনি। একই মাঠে দু’টি ম্য়াচে অন্য়রকম আচরণ কেন করল পিচ? ”দ্বিতীয় ম্য়াচে উইকেট অনেক স্লো ছিল। ফলে, ব্য়াটে বল ঠিক সময়ে আসছিল। কিন্তু, তৃতীয় একদিনের ম্য়াচটি যে পিচে খেলা হয়েছে, সেটাতে অনেক মুভমেন্ট রয়েছে। আর সেই কারণেই সিম আদায় করে নিতে পারছিলাম আলাদা করে। লাইন ও লেংথ ঠিক রেখে বোলিংয়ে বৈচিত্র আনার চেষ্টা করছিলাম। আর বলও ঠিক জায়গায় পড়ছিল। তাই আমরা উইকেট পাই। তবে, রোজ রোজ বোলিংয়ে বৈচিত্র আনা য়ায় না। কোনও কোনও দিন একটা মাত্র পরিকল্পনা নিয়ে চলতে হয়। আবার কোনওদিন পরীক্ষা-নীরিক্ষা চালানো যায় ইচ্ছে মতো। ভারতর হয়ে খেলা মানেই আলাদা চাপ থাকে। কিন্তু, সেই চাপটা মাথায় না নিয়ে, খেলাটাকে উপভোগ করা উচিত।”

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *