ভারতে ক্রিকেট খেলাটিকে একটি ধর্মের মতো মনে করা হয় আর খেলোয়াড়দের ভগবানের স্থান দেওয়া হয়। জয়ের পর খেলোয়াড়দের যেমন মাথায় তোলা হয়ে থাকে তেমনি হারের পরও তাদের প্রচণ্ড সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়। সমর্থকরা দলের হার-জিতকে নিজেদের ব্যক্তিগত হার-জিতের সঙ্গে তুলনা করেন। এটাই কারণ যে ভারতে এই খেলাটি এতটাই জনপ্রিয়।
বিসিসিআইয়ের রিসেপশনিস্ট জানালেন নিজের কথা
ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) হেডকোয়ার্টারের রিসেপশনিস্ট বার্নাড ফার্নান্ডেজ ১৫ বছরের পর চাকরি ছাড়লেন। তিনি এর মধ্যেই নিজের কাজের ব্যাপারে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে বেশ কয়েকবার সমর্থকরা নিজের পছন্দের খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলার জন্য কল করতেন। তারা খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলার জন্য জেদ করতেন। বার্নাডের মতে সমর্থকদের বোঝানো যথেষ্ট মুশকিল হতো।
শেয়ার করেছেন অভিজ্ঞতা
বার্নাড ফার্নান্ডেজ পুরোনো কথাকে স্মরণ করতে গিয়ে বলেছেন যে একদিন এক ব্যক্তি ফোন করে বলেন যে তার বাবা মৃত্যু শয্যায় আর তার শেষ ইচ্ছা যে তিনি একজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলতে চান। এটা নিয়ে বার্নাড জানা যে আমি কিভাবে ওনাকে বোঝাতে পারতাম যে এটা সম্ভব নয়, কিন্তু আমি যত্ন করা তাকে নিজের সমস্যা জানাই। এছাড়াও আরো কল আসতো। তিনি জানিয়েছেন যে ম্যাচের টিকিটের জন্যও সমর্থকরা কল করতেন।
আসত হুমকি দেওয়া কলও
বার্নাড ফার্নান্ডেজ জানিয়েছেন যে সমর্থকরা কল করে হুমকীও দেন। বিশ্বকাপ ২০১৫য় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে হুমকী দিয়ে কল আসত। তাতে বলা হত যে যদি ভারত ম্যাচ হেরে যায় তো পরিণাম ভোগার জন্য তৈরি থেকো। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০১৭র ফাইনালে ভারত পাকিস্তানের হাতে হেরে গিয়েছিল। এরপর সমর্থকরা কল করে বলেছিলেন যে যখন আমাদের জওয়ানরা শহীদই হচ্ছে তো ভারত ম্যাচই বা কেনো খেলল।