মোহলির পিসিএ স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওয়ান ডে তে শ্রীলঙ্কার ইনিংসের ১১তম ওভারে প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ক্রিকেট আইনের খবর অনুযায়ী আচরণ বিধি ভঙ্গ করেন। এই আচরণ বিধি অনুযায়ী খেলোয়াড়রা ব্যাটসম্যানদের চমকাতে পারবেন না যদি বল হাতে না থাকে। সেইসময় ক্রিজে ছিলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ এবং লাহিরু থিরিমানে। স্ট্রাইকার এন্ড থেকে ম্যাথিউজ ২ রান পূর্ণ করার জন্য পড়িমড়ি করে দৌড় লাগিয়েছিলেন। ফিল্ডার বল ছোঁড়ার পর ধোনি সেই বল ধরার জন্য প্রথমে তৈরি ছিলেন কিন্তু হঠাৎই বলটি স্টাম্পে লাগতে পারে ভেবে তিনি বল না ধরে একেবারে শেষ মুহুর্তে ছেড়ে দেন এবং বলটি গিয়ে স্টাম্পে লাগে। বল স্টাম্পে লাগার সঙ্গে সঙ্গে উইকেটের বেলের এলইডি লাইট জ্বলে ওঠায় প্লেয়াররা চেঁচিয়ে উত্তেজিত হয়ে চেঁচিয়ে ওঠেন যা স্কোয়ার লেগ আম্পায়রকে বাধ্য করেন টিভি আম্পায়ারের সাহায্য নিতে।
১ অক্টোবর ২০১৭ থেকে লাগু হওয়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী যদি কোনো ফিল্ডার বল ধরার বা ছোঁড়ার ভান করেন যখন বল তাদের নাগালের আশেপাশেই নেই সে ক্ষেত্রে ব্যাটিং টিমকে এক্সট্রা ৫ রান পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে। এমসিসির ৪১.5 আইন ‘ইচ্ছাকৃত ডিস্ট্রাকশন, ব্যাটসম্যানকে প্রতারণা অথবা বাধা দেওয়া’র ক্ষেত্রে লাগু হয়। ৪১.5.১ ক্লজের বলা আছে, “কোনো শব্দ বা অ্যাকশনের মাধ্যমে বল মারার পর স্ট্রাইক নেওয়ার সময় ব্যাটসম্যানকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্ত করা, প্রতারণা করা অথবা বাধা দেওয়া অন্যায় হিসেবে ধরা হবে”। এই নিয়ম চালু হওয়ার দুদিন পরেই এই ফেক ফিল্ডিং আইন অনুযায়ী গত সেপ্টেম্বরেই প্রথমবার একটি দলকে দোষি সাব্যস্ত করা হয়।
এই ফেক ফিল্ডিং আইন অনুযায়ী এই আইন প্রণয়ন হওয়ার পরই গত সেপ্টেম্বরেই প্রথম কোনো দলকে দোষী সাব্যস্ত করার উদাহরণ দেখা গেছে যখন কুইন্সল্যান্ডের মার্নাস ল্যাবাসক্যগনেকে অস্ট্রেলিয়া একাদশের পরম উপ্পলকে টিজিং করার অপরাধে দোষী পাওয়া যায়। তবে আসিসি ক্রিকেট আইন ম্যানেজার ফ্রেজার স্টুয়ার্টের মতে না তো ধোনিকে বল ধরার ভান করতে দেখা গেছে আর না রান করা আটকাতে দেখা গেছে।
ধোনিকে না বল ধরার ভান করতে আর না বল ছুড়ে রান আটকাতে দেখা গেছে। বলটি ছোঁড়ার মাঝ পথেই ধোনি বুঝতে পারেন যে বলটি সরাসরি স্ট্যাম্পে লাগতে পারে তাই তিনি স্মার্টলি তার হাত বলের গতিপথ থেকে সরিয়ে নেন। তাই শ্রীলঙ্কাকে ৫ রান দেওয়ার অনুমতির বিতর্ক উঠতে উঠতেও ওঠে নি।