একদিনের বিশ্বকাপে আজ চিরপ্রতিদ্বন্ধী ইংল্যাণ্ড আর অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে টুর্নামেন্টের ৩২তম ম্যাচ লর্ডস ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা হয়েছে। দুই দলের মধ্যে সমর্থকদের যথেষ্ট রোমাঞ্চকর ম্যাচের আশা ছিল আর অস্ট্রেলিয়ান দল কাউকেই নিরাশ করেনি। অ্যারণ ফিঞ্চের নেতৃত্বাধীন দল এই ম্যাচ ৬৪ রানে জিতে নেয়।
অস্ট্রেলিয়া ইংল্যাণ্ডের সামনে ২৮৬ রানের লক্ষ্য রেখেছিল কিন্তু তারা এই লক্ষ্যের জবাবে ২২১ রানই করতে পারে আর অলআউট হয়ে যায়। ইংল্যাণ্ডের এটি এই টুর্নামেন্টের লাগাতার দ্বিতীয় হার। এই হারের সঙ্গেই ইংল্যাণ্ডের সেমিফাইনালে জায়গা করার রাস্তাও কঠিন হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া শেষ চারে নিজেদের জায়গা পাকা করে ফেলেছে।
হারে হতাশ হলেন মর্গ্যান
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাওয়া বড়ো হারের পর ইংল্যাণ্ড দলের অধিনায়ক ইয়োন মর্গ্যানকে যথেষ্ট হতাশ দেখিয়েছে আর তিনি নিজের পোস্ট ম্যাচ প্রেজেন্টেশনে বলেন,
“আজ পুরো ম্যাচেই আমাদের দলকে রাস্তা হারাতে দেখা গিয়েছে। আমাদের দল শেষ দিক উইকেট অবশ্যই হাসিল করেছেন কিন্তু শুরু উইকেটের জন্য ওডের পার্টনারশিপ যথেষ্ট দুর্দান্ত থেকেছে। এখানের উইকেট সামান্য ভাল ছিল, কিন্তু চ্যালঞ্জিংও ছিল”।
এই ম্যাচের শুরু ইংল্যাণ্ডের টস জিতে প্রথমে বল করা দিয়ে হয়। টস নিয়ে ইয়োন মর্গ্যান বলেন,
“সকালের সময় যখন আমরা শুরু করি তখন উইকেট সামান্য নরম ছিল/ টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার নির্ণয় নেওয়া আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যপূর্ণ প্রামানিত হতে পারত”।
ফিঞ্চের হল প্রশংসা
এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারণ ফিঞ্চ দুর্দান্ত ১০০ রান করেন। নিজের বয়ানে ইয়োন মর্গ্যান ফিঞ্চেরও প্রশংসা করেন। মর্গ্যান বলেন,
“অ্যারণ ফিঞ্চ আজ বাস্তবে ভাল প্রদর্শন করেছেন। যে শুরুটা ওরা পেয়েছে তা লাভজনক ছিল। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস দেখে এটাই মনে হচ্ছিল যে ওরা ৩৩০ রান করবে”।
ম্যাচে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা যথেষ্ট নিরাশাজনক প্রদর্শন করেছেন। ইয়োন মর্গ্যান নিজের বয়ানে দলের ব্যাটসম্যানদের কড়া তিরস্কার করেছেন। মর্গ্যান শেষে বলেন,
“যখন আপনার দলের স্কোর একসময় ২০/৩ হয়ে গেছে তো বুঝে নিন আপনি অনেকটাই ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছেন। পরিস্থিতিকে দেখে এই হার বেশি গুরুতর হয়নি। আমাদের ভাগ্য আমাদের হাতেই ছিল। আমার মনে হয় না যে দলে এখনো বেশি কিছু পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে”।