একদিনের বিশ্বকাপ জেতার প্রবল দাবীদার মানা ইংল্যান্ড আর ভারত আজ টুর্নামেন্টে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল। ইংল্যান্ডের দল প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারের খেলায় ৩৩৭/৭ রানের দারুণ স্কোর করে। টিম ইন্ডিয়া ম্যাচ জেতার জন্য লক্ষ্য অয়ায় ৩৩৮ রানের। কিন্তু তারা মাত্র ৩০৬/৫ রানই করতে পারে আর এই ম্যাচ ৩১ রানে হেরে যায়। এই টুর্নামেন্টে এটি ভারতীয় দলের প্রথম হার অন্যদিকে ইংল্যাণ্ড এই জয়ের ফলে নিজেদের সেমিফাইনালের দৌড়ে আবারো বাঁচিয়ে তুলেছে। ভারতীয় দলের হয়ে রোহিত শর্মা সবচেয়ে বেশি ১০২ রান করেন। ইংল্যান্ড দলের হয়ে লিয়াম প্ল্যাংকেট সবচেয়ে বেশি তিন উইকেট নেন।
ওপেনিং ব্যাটসম্যানদের প্রদর্শন দুর্দান্ত
ইংল্যাণ্ডের ওপেনিং ব্যাটসম্যান জেসন রয় আর জনি বেয়রস্টো দলকে বিস্ফোরক শুরু এনে দেন। দুজনে মিলে প্রথম উইকেটের জন্য ১৬০ রান যোগ করেন। আর স্পিন বোলারদের জমিয়ে ধোলাই করেন। ইংল্যাণ্ডের জয়ের পর দলের অধিনায়ক ইয়োন মর্গ্যান বলেন,
“আমার মনে হয়েছে আমাদের কাছে একটা সঠিক শুরু ছিল। টস জেতা আর প্রথমে ব্যাটিং করা সহজ নির্নয় ছিল না, কিন্তু এটা একটা ভীষণ ভাল নির্নয় ছিল। আমি সকালে এ ব্যাপারে আশ্বস্ত ছিলাম না। কিন্তু এটা আমাদের জন্য বাস্তবে ভাল কাজ করেছে। আমরা ভীষণ ভাল খেলেছি, জেসন রয় প্রত্যাবর্তন করছিল আর জনির কাছ থেকে সেঞ্চুরি দেখতে চেয়েছিলাম। পার্টনারশিপ চলাকালীন আমাদের সবমিলিয়ে ভীষণই মুশকিলের মুখোমুখি হতে হয়েছে। ১০-২০ ওভারে আমরা প্রায় ৯০-৯৫ রান পেয়েছি যা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল”।
পিচ হয়ে যাচ্ছিল স্লো
ইংল্যাণ্ডের অধিনায়ক ইয়োন মর্গ্যান খোলসা করেছেন যে ইনিংস চলাকালীন পিচ সামান্য স্লো হওয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল। তিনি মেনে নিয়েছেন যে এতে তাদের বোলারদের যথেষ্ট ফায়দা হয়েছে। মর্গ্যান এই ব্যাপারে বলেন,
“প্রথম ইনিংস চলাকালীন আমি ফিডব্যাক পাচ্ছিলাম যে ব্যাটিং সামান্য মুশকিল হচ্ছিল আর বল ফাঁসছিল। আমার মনে হয় যে আমরা এই ধরণেরই ক্রিকেট খেলি। স্লো বল পিচ থেকে বাউন্স পাচ্ছিল আর এই কারণে আমরা চিন্তিত হচ্ছিলাম না। আমি ভারতের শেষের ওভারের খেলার ধরণে অবাক হইনি”।
বোলারদের জমিয়ে প্রশংসা
ইংল্যাণ্ডের বোলাররা শুরু থেকেই ভাল বোলিং করেছেন। ওরা পিচ সেট হওয়া বিরাট কোহলিকে আউট করে ভারতীয় দলকে বড়ো ধাক্কা দেয়। তিনি বোলারদের জমিয়ে প্রশংসা করে বলেন,
“আমাদের বোলাররা দুর্দান্ত প্রদর্শন করেছে। লিয়াম আমাদের গয়ে গত ৪ বছরে মাঝের ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করেছে। এই টুর্নামেন্টে কোনো ম্যাচ সহজ হয় না আর আমরা পাকিস্তান আফগানিস্তানের ম্যাচ দেখেছিলাম। বিশ্বকাপের সমস্ত ম্যাচই মুশকিল হয়”।