ইংল্যান্ড দল আর শ্রীলঙ্কার মধ্যে ২টেস্ট ম্যাচের সিরিজ গলের আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে। কোভিডের ছায়ায় চলা এই সিরিজের উপর আগে থেকেই যথেষ্ট সংকট দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু তারপর কোভিড সুরক্ষা প্রটোকলের সঙ্গে এই সিরিজ শুরু হয়। ইংল্যান্ড দলের হয়ে এই সফরে খেলতে পৌঁছনোর পরই একটি খারাপ খবর সামনে এসেছে। তাদের কিছু খেলোয়াড়দের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এই খবর থেকে বেরিয়ে ইংল্যান্ড দল শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট খেলা শুরু করতেই দলের আরেক তারকা অলরাউন্ডারের মধে কোভিডের নতুন স্ট্রেইন পাওয়া গেলো।
কোভিডের নতুন স্ট্রেইনে সংক্রমিত হলেন মইন আলি
ইংলিশ দল যখন এই সফরে পৌঁছেছিল তখন তারা সবচেয়ে বড়ো ধাক্কা খেয়েছিল অলরাউন্ডার মইন আলির কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর। যারপর এটা মনে করা হচ্ছিল যে এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারকে সিরিজের দুই টেস্ট থেকেই বাদ পড়তে হতে পারে। যা ইংল্যান্ডের জন্য একটা বড়ো ধাক্কা । ৩৩ বছর বয়সী ক্রিকেটারের রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর তাকে দ্রুত আইসোলেশনে পাঠানো হয় যাতে বাকি খেলোয়াড়দের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যেতে পারে। তবে ইংল্যান্ড টিম ম্যানেজমেন্টের সবচেয়ে বড়ো ধাক্কা তখন লাগে যখন জানা যায় যে মইন আলির শরীরে করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন পাওয়া গিয়েছে।
শ্রীলঙ্কায় নতুন স্ট্রেইনের প্রথম কেস মইন আলি
মনে করা হচ্ছে যে এই রোগের এই নতুন স্ট্রেইন ইউকে থেকেই এসেছে। আর ডাক্তাররা এটিকে আগের চেয়েও বেশি ভয়ঙ্কর স্ট্রেইন হিসেবে মেনে নিয়েছেন। মিডিয়া রিপোর্টের মোতাবেক শ্রীলঙ্কার প্রশাসনিক অথরিটি এই আপডেট দিয়েছে যে মইন আলি বাস্তবেই করোনার নতুন স্ট্রেইনে সংক্রিমিত হয়েছে। সবচেয়ে মজার কথা এটাই যে ডেপুটি চিপ এপিডেমিওলজিস্ট হেমন্ত হেরাথ রিপোর্টারদের জানিয়েছেন যে শ্রীলঙ্কায় নতুন স্ট্রেইনে আক্রান্তের ব্যাপারে এই ইংলিশ ক্রিকেটারই প্রথম কেস। এই কারণে অথরিটিজ এই ব্যাপারে বেশি সাবধানতা অবলম্বন করছেন, যাতে এই নতুন স্ট্রেইন বাকিদের মধ্যে না ছড়ায়।
ইংল্যাণ্ড দলের হবে লোকসান
নতুন স্ট্রেইন থেকে বাঁচার জন্য বেশিকিছু দেশ সাবধানতা হিসেবে ইউকে থেকে যাওয়া আসা সমস্ত বিমানকেই অস্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। তবে চাটার্ড ফ্লাইটে শ্রীলঙ্কা আসা ইংলিশ দলের উপর এই নিষেধাজ্ঞা রাখা হয়নি। অন্যদিকে সিরিজের ব্যাপারে কথা বলা হলে ইংল্যান্ডের দৃষ্টিভঙ্গিতে দলে মইন আলির থাকা দলের জন্য লাভজনক প্রমান হতে পারত। উপমাদেশে ম্যাচ হওয়ার কারণে ইংল্যাণ্ড দলের সিনিয়র স্পিন অলরাউন্ডারের গুরুত্ব যথেষ্ট বেশি ছিল।