মহেন্দ্র সিং ধোনির সাথে গৌতম গম্ভীরের সম্পর্কটা একেবারে সাপে নেউলে না হলেও মধুর যে নয় সেটা সবাই জানে। সমালোচকরা তো এটাও বলেন যে ধোনির কারণেই তাকে দলে টিকতে পারেন নি গম্ভীর। কয়েকদিন আগে মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলে জায়গা হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন গৌতম গম্ভীর। সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলে সকলের জন্য সমান নিয়ম হওয়া উচিত। তিনি বলেন, “২০১৯ বিশ্বকাপে পারফর্ম না করলে কোনও মূল্য নেই। সবার জন্য একই নিয়ম হওয়া উচিত। সেটা ধোনি হোক বা অন্য কেউ। “দেশের জন্য একসময় আপনি কিছু করেছিলেন। কিন্তু এখন সেসব অতীত।”
কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে চলমান ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে ভুবনেশ্বর কুমারকে সঙ্গী করে নিশ্চিত পরাজয়ের অবস্থা থেকে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান ধোনি। এরপর থেকেই থেকে ভারত এখন ধোনি বন্দনায় মেতে উঠেছে। সেই তালিকা থেকে বাদ যাননি দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র শেবাগও শেবাগ টুইট করে প্রকাশ করেন ধোনির প্রতি তার সমর্থন। টুইটে তিনি বলেন, “ভারতীয় ক্রিকেট দলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। দারুণ বল করেছে ধনঞ্জয়। তবে ধোনি কিন্তু নিজের স্নায়ু ধরে রাখতে পেরেছে। পাশাপাশি ভুবির স্পিরিটাও দেখার মতো ছিল। খুব ভালো খেলেছ।” ভারতের অপর এক প্রাক্তন ক্রিকেটার সঞ্জয় মঞ্জরেকর গম্ভীরকে আবার একহাত নিয়ে বললেন, “অতীতকে বিচার করে কোনওদিন ধোনির ভবিষ্যত নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। ভারতীয় ক্রিকেট দলে ধোনির জায়গা নিয়ে প্রশ্ন তোলা একেবারেই অসঙ্গত।” আবার দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়া বললেন, “নেভার সে ডাই… এই তিনটে শব্দই ধোনির জন্য একেবারে সঙ্গত। ধোনি এমন একজন মানুষ যে কোনওদিন ময়দান ছেড়ে পালায় না।”
এর আগেও ধোনিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচনায় এসেছিলেল কেকেআর অধিনায়ক। অস্ট্রেলিয়া সফরে ধোনির ব্যাটিং দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন গম্ভীর। সেবার তিনি বলেছিলেন, “ম্যাচটা জিততে ধোনি এতো দেরি করলো কেন বুঝলাম না। আমি হলে আরো ৫ ওভার আগেই ম্যাচটা জিতে যেতাম আমরা।” ক্যাপ্টেন কুলের অধিনায়কত্ব নিয়েও আঙুল তুলেছিলেন গম্ভীর। আইপিএল চলাকালীন সময়েও গম্ভীর ধোনিকে নিয়ে ব্যাঙ্গ করেন।, “দল যত ভাল, ক্যাপ্টেনও ততটাই ভাল।’ গতকাল ১৯১ রান করেও বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর কাছে হেরেছে ধোনির দল। এই ম্যাচ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে গম্ভীর বলেন ‘১৯১ ভাল স্কোর, কিন্তু জেতার মতো নয়। ব্যাঙ্গালুরুর পিচ আর মাঠের বিচারে পঁচিশ রান মতো কম।”