ওয়েস্টইন্ডিজ আর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে এমএস ধোনির নাম নেই। লোকেরা এই মুহুর্তে এই ব্যাপারে দ্বিধায় রয়েছে, যে ধোনিকে বাদ দেওয়া হয়েছে নাকি বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। এখন বিসিসিআই স্বয়ঙ এই ব্যাপারে রহস্য উন্মোচন করেছে যে তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে নাকি টি-২০ দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
২০২০ টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য অন্য উইকেটকিপারদের প্রস্তুত করতে দেওয়া হয়েছে বাদ
২০২০ টি-২০ বিশ্বকাপেওন্য উইকেটকিপারদের তৈরি করার কারণে বিসিসিআই এমএস ধোনিকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বিসিসিআইয়ের বক্তব্য যে ২০২০ টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য এখন কম সময় রয়েছে। এই অবস্থায় বিসিসিআই এক তরুণ উইকেটকিপার ২০২০ টি-২০ বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুত করতে চায়।
ধোনিকে বলে দেওয়া হয়েছিল যে তাকে বাদ দেওয়া হচ্ছে
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে ছাপা একটি রিপোর্টের মোতাবেক বিসিসিআইয়ের একটি সূত্র নিজের বয়ানে বলেছেন, “ নির্বাচন বৈঠকে আগে নির্বাচকরা টিম ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে ধোনিকে সূচিত করে দিয়েছিল,যে তাকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। ২০২০ টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য কম রয়েছে, এই কারণে একজন তরুণ খেলোয়াড়কে সেই বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত করতে সময় চাই। সকলেই জানে যে, ধোনি ২০২০ টি২০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলতে পারবেন না। এইকারণে নির্বাচকরা অনুভব করেছেযে এখন ধোনির বিকল্পের সন্ধান করা উচিৎ”।
ওয়ানডে দলের সদস্য থাকবেন
বিসিসিআইয়ের সূত্র আগে আরও জানিয়েছেন, “ধোনির এখন টি-২০ ক্রিকেটে খেলা মুশকিল, কিন্তু বর্তমানে ও ওয়ানডে ক্রিকেটে দলের সদস্য থাকবেন”। জানিয়ে দিই যে বোর্ডের বেশ কয়েক আধিকারিক চান যে ধোনি ওয়ানডে ক্রিকেট খেলতে থাকুন, কারণ ওই আধিকারিকদের মনে হয় যে বিশ্বকাপ ২০১৯ এ অধিনায়ক কোহলিকে যথেষ্ট সাহায্য এমএস ধোনি করতে পারেন। যদিও নির্বাচক প্রধান এমএসকে প্রসাদকে যখন এমএস ধোনিকে দল থেকে বাদ দেওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করা হয় তখন তিনি নিজের বয়ানে বলেছিলেন যে, “ আমাদেরকাছে অস্ট্রেলিয়া আর ওয়েস্টইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৬টি টি-২০ ম্যাচ রয়েছে। আর আমরা এই ৬টি ম্যাচে দীনেশ কার্তিক আর ঋষভ পন্থকে উইকেটকিপিংয়ের জন্য দেখে নেব”।