ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের পর থেকে দলের বাইরে রয়েছেন। ধোনি বিশ্বকাপের পর ২ মাসের ব্রেকের কথা জানিয়ে দলে না থাকার কথা ঘোষণা করেছিলেন। মাহি একের পর এক ঘরোয়া সিরিজ খেলছেন না। দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, ওয়েস্টইন্ডিজ আর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলা হওয়া সিরিজে ধোনিকে দেখা যায়নি। এখন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন তারকা সুনীল গাভাস্কার ধোনির এই বিশ্রাম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
ধোনির নিজেকে করা উচিত প্রশ্ন
ধোনির অবসর নিয়ে গুজব বাজারে দীর্ঘ সময় ধরে চলছে। কিন্তু মাহি এখনো পর্যন্ত দলে ফেরা বা নিজের অবসরের ব্যাপারে কোনো অফিসিয়াল বয়ান দেননি। এখন ২৬তম লালবাহাদুর শাস্ত্রী মেমোরিয়াল বক্তৃতা দিতে গিয়ে গাভাস্কার ধোনির ফিটনেসের ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন যে,
“আমি ফিটনেসের ব্যাপারে বলতে পারব না, কিন্তু আমার মনে হয় যে ধোনির নিজেকে প্রশ্ন করা উচিত। ১০ জুলাইয়ের পর থেকে ও নিজেকে নির্বাচিত হওয়ার জন্য অনুপলব্ধ বলে জানিয়েছে। এটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেউ কি এত দীর্ঘ সময় পর্যন্ত নিজেকে ভারতের হয়ে খেলা থেকে দূরে রাখে? এটাই প্রশ্ন আর এই প্রশ্নের মধ্যেই উত্তর লুকিয়ে রয়েছে”।
আইপিএলের উপর রঞ্জির প্রভাব
২০০৮ থেকে শুরু হওয়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে খেলোয়াড়দের এবং দর্শকদের আগ্রহ অনেক বেশি দেখতে পাওয়া যায়। অন্যদিকে ঘরোয়া ক্রিকেটকে ততটাও গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এটা নিয়ে গাভাস্কার বলেন,
“আইপিলের প্রভাব রঞ্জির উপর বেশি। যতক্ষণ ম্যাচ ফিজ বাড়ানো হবে না, ততক্ষণ রঞ্জি ট্রফিকে ভারতীয় ক্রিকেটের এক অনাথ বাচ্চার মতোই মনে করা হবে। রঞ্জি ট্রফিতে খেলোয়াড়দের মাইনে গত কিছু বছরে বাড়ে নি, আর আমার আশা যে সৌরভ গাঙ্গুলীর বিসিসিআইয়ের সভাপতি হওয়া পর এই বিষয়টা বদলাবে, ও এই দিকে মনোযোগ দেবে। যদি আপনি ১৪ দিন আইপিএল খেলা খেলোয়াড়দের দেখেন, যারা লাগাতার প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেন না, আর যারা ৮০ দিন রঞ্জি ট্রফি খেলেন, তাদের মাইনে দেখেন তো যথেষ্ট পার্থক্য দেখতে পাবেন। এটা যথেষ্ট বড়ো পার্থক্য। আশা রয়েছে এখন এটায় পরিবর্তন হবে”।