মহেন্দ্র সিং ধোনি ভারতীয় দলের সবচেয়ে সফলতম অধিনায়কদের একজন। তার অধিনায়কত্বেই ভারত ২০০৭ এর টি-২০ বিশ্বকাপ জিতেছিল আর এরপর ২০১১র ওয়ানডে বিশ্বকাপ আর ২০১৩র আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল। আজ আমরা আপনাদের এই বিশেষ প্রতিবেদনে সেই ৩জন অধিনায়কের ব্যাপারে জানাব, যাদের অধিনায়কত্বে ধোনি খেলেছেন কিন্তু আপনারা সম্ভবত সেই বিষয়টি জানেন না।
বীরেন্দ্র সেহবাগ
বীরেন্দ্র সেহবাগের অধিনায়কত্বে মহেন্দ্র সিং ধোনি ৪টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিলেন, যার মধ্যে তিনি ৫৫.৩৩ এর দুর্দান্ত গড়ে মোট ১৬৬ রান করেছিলেন। এর মধ্যে তার স্ট্রাইকরেট ছিল ৯৪.৩১। তিনি সেহবাগের অধিনায়কত্বে ভারতীয় দলের হয়ে একটি হাফসেঞ্চুরিও করেছিলেন। বীরেন্দ্র সেহবাগের অধিনায়কত্বে মহেন্দ্র সিং ধোনি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একটি টি-২০ ম্যাচও খেলেন। এই ম্যাচে মহেন্দ্র সিং ধোনি শূন্য রানে আউট হয়ে গিয়েছিলেন। যদিও ভারত এই ম্যাচ জিততে সফল হয়েছিল। আপনাদের জানিয়ে দিই যে এই ম্যাচটি ভারতীয় দলের প্রথম টি-২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ ছিল। বীরেন্দ্র সেহবাগ কখনো নিয়মিতভাবে ভারতীয় দলের অধিনায়ক হননি। তাকে স্রেফ পার্ট টাইমই ভারতীয় দলের নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছিল।
অনিল কুম্বলে
অনিল কুম্বলের অধিনায়কত্বে মহেন্দ্র সিং ধোনি মোট ১০টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। তার অধিনায়কত্বে ধোনি ২৬.৮৬ গড়ে ভারতীয় দলের হয়ে ৪০৩ রান করেছিলেন। এর মধ্যে তিনি ৩টি হাফসেঞ্চুরিও ভারতীয় দলের হয়ে করেছিলেন। কুম্বলের অধিনায়কত্বে ধোনি টেস্ট ক্রিকেটে ৪৬টি বাউন্ডারি আর চারটি ছক্কাও মারেন। অনিল কুম্বলের অবসরের পরেই মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ভারতীয় টেস্ট দলেরও অধিনায়ক করা হয়েছিল। তার আগে ধোনি স্রেফ ওয়ানডে আর টি-২০ অধিনায়ক ছিলেন।
মাহেলা জয়বর্ধনে
মহেন্দ্র সিং ধোনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাহেলা জয়বর্ধনের অধিনায়কত্বেও খেলেছেন। আসলে এশিয়া ইলেভেন দলের হয়ে খেলতে গিয়ে ধোনি মাহেলা জয়বর্ধের নেতৃত্বে খেলেছিলেন। ২০০৭ সালে ধোনি জয়বর্ধনের নেতৃত্বে মোট ৩টি ম্যাচ খেলেছিলেন। যেখানে তিনি ৮৭র দুর্দান্ত গড়ে ১৭৪ রান করেন। এর মধ্যে তার স্ট্রাইকরেট ছিল ১২৫.১৭। তিনি জয়বর্ধনের অধিনায়কত্বে একটি দুর্দান্ত সেঞ্চুরিও করেন। তিনটি ম্যাচেই এশিয়া ইলেভেনের দল অ্যাফ্রো আফ্রিকা ইলেভেনের বিরুদ্ধে জিতেছিল।