প্রথম ওয়ানডেতে ভারতের জয়ে কার্যকরী ভূমিকা রেখেছিলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক, ‘ক্যাপ্টেন কুল’ খ্যাত মহেন্দ্র সিং ধোনী। উইকেটের সামনে থেকে দলের বিপর্যয়ের সময় ব্যাট হাতে খেলেছেন কার্যকরী ৭৯ রানের এক ইনিংস আর কিপিং গ্লাভস হাতে উইকেটের পিছনেও সফল। এরপর ২১ সেপ্টেম্বর কলকাতার ইডেন গার্ডেনে দ্বিতীয় ম্যাচেও ভারতে হয়ে উইকেটের পিছনে কিপিং গ্লাভস হাতে সফল ভূমিকা রেখেছেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। বৃহস্পতি বারের দ্বিতীয় ম্যাচে ৫০ রানে জয়ী হয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গেল ভারত। আগে ব্যাট করে ভারতের স্কোর বোর্ডে ভারত জমা করতে সক্ষম হয় ২৫২ রান। বর্তমান সময়ে ক্রিকেটে এটি খুব বড় রান না হলেও অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং এর শুরুর দিকে ই দুই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার হিলটন কার্টরাইট এবং ডেভিড ওয়ার্নার কে ফিরিয়ে ভূবেনেশ্বর কুমার ভারতকে চালকের আসনে বসিয়ে দেন। কিন্তু এরপর তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ ও ট্রেভিস হেইড অস্ট্রেলিয়ার ইনিসের হাল ধরেন। যখন তারা কার্যকরী জুটির মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়াকে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন উইকেটে পিছন হতে ভূমিকা রাখতে দেখা যায় মহেন্দ্র সিং ধোনী। ধোনীকে কেবল বোলারদের ই দিক নির্দেশনা দেন নি বরং মাঠের ফিল্ডারদেরও নির্দেশনা দিতে দেখা যায়। পনের তম ওভারে যুবেন্দ্র চাহালের প্রথম তিন বলে কেবল এক রান হয়, চতুর্থ বলে মোকাবেলা করার জন্য স্মিথ যখন তৈরী হচ্ছেন তখন ধোনী কে বলতে শুনা যায় পান্ডিয়াকে কয়েক পা পিছনে সরে দাড়াতে। কারন তিনি ধারনা করছিলেন এবার বড় শর্ট খেলবে স্মিথ। ধোনী পান্ডিয়াকে বলেন, “কয়েক পা সরে দাড়াও।”
এরপরে আবার যুবেন্দ্র চাহাল যখন ২৩তম ওভারে ম্যক্সওয়েলকে বল করতে আসেন তখনও ধোনী চাহাল কোন জায়গায় বল করতে হবে সেই ব্যাপারে পরামর্শ দেন। ধোনী বলেন যে যদি বল বেশি স্পিন করে তাহলে বল যেন স্ট্যাম্প সোজা ফেলে বাহিরের দিকে নেন। চাহাল ধোনী কথা অনুযায়ী বল করলে ম্যাক্সওয়েল এগিয়ে গিয়ে আক্রমণ করতে গেলে ধোনী স্ট্যাম্পিং করতে ভুল করেন নি। প্রথম ওয়ানডেতেও ধোনীর কথা অনুযায়ী বল করে চাহাল ম্যাক্সওয়েল কে আউট করেন। প্রথম ওয়ানডে তে ম্যাক্সওয়েলকে বোলিং করার সময় ধোনী বার বার কুলদীপ যাদব কেও নির্দেশনা দিয়েছিলেন, কিন্তু ধোনীর নির্দেশনার না শুনায় চরম মূল্য দিতে হয় কুলদীপ যাদব কে। এমনকি ম্যাচ শেষে হ্যাটট্রিক ম্যান কুলদীপ যাদবও তার হ্যাটট্রিকের পিছনে ধোনীর ভূমিকার কথা বলেন। বিশেষ হ্যাটট্রিকের বলের সময় তাকে তার মত বল করার নির্ভয় দেন। কুলদীপ বলেন, ” কখনো ভাবি নি! শুরুর দিকে আমি সঠিক জায়গায় বল করতে ই বেগ পাচ্ছিলাম। এটা ক্রিকেট খেলা, সব কিছু ঘটতে পারে। শেষ ম্যাচে আমার বলে তিনটি ছক্কা মেরেছিল। সেটা আমার একটা অভিজ্ঞতা ছিল, আমি মাহি (ধোনী) ভাইর সাথে কথা বলেছিলাম। তিনি আমাকে নিজের মত বল করার পরামর্শ দেন। এই তিনি বলেন শেষ ম্যাচে আমার বলে তিনটি ছক্কা মেরেছিল। সেটা আমার একটা অভিজ্ঞতা ছিল, আমি মাহি (ধোনী) ভাইর সাথে কথা বলেছিলাম। তিনি আমাকে নিজের মত বল করার পরামর্শ দেন। এই হ্যাটট্রিকটা অসাধারন ছিল, খেলাকে বদলে দিয়েছে। অসাধারন ছিল, খেলাকে বদলে দিয়েছে।”