সদ্য সমাপ্ত শ্রীলঙ্কা সিরিজের পারফম্যান্স মহেন্দ্র সিং ধোনীর জন্য বড় একটি স্বস্তি নিয়ে এসেছে। সিরিজ শুরুর আগে ধোনী কেবল সমালোচকদের সমালোচনার চাপে ই ছিলেন না বরং প্রধান নির্বাচকের মন্তব্যে চাপে ছিলেন। প্রধান নির্বাচক এমএসকে প্রসাদ জানিয়েছিলেন ধোনী এখন আর দলে “অটোমেটিক চয়েস” না।
দ্বীপরাষ্ট্রে ভাল খেলে বিশ্বকাপ জয়ী সাবেক অধিনায়ক যেন নিজের জন্য সময় কিনে নিলেন। সিরিজে একবারও আউট না হয়ে চার ইনিংসে ধোনী ১৬২ রান করেছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে একটা অর্ধ শতক। যদিও ধোনী তার সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে পেরেছেন কিন্তু এটা ভুলে গেলে চলবে না ধোনীর এ সাফল্য দুর্বল শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। ২০১৬ সালে অনেকটা ই বিবর্ণ ছিলেন এই ডান হাতি ব্যাটসম্যান। ১৩ ম্যাচ ২৭.৮০ গড়ে মাত্র ২৭৮ রান করতে সমর্থ হোন ধোনী। ৩৬ বছর বয়স্ক ধোনী ২০১৭ সাল শুরু করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিস্ময়কর ১৩৪ রানের এক ইনিংস নিয়ে। কিন্তু এই ফর্ম ধারাবাহিক ছিল না। ওয়েস্ট উইন্ডিজ সফরে করেছে ১০৮ খেলে মাত্র ৫৪ রান, যা প্রমাণ দেয় তার ব্যাটপ্যাচের। তাই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আসন্ন সিরিজ হবে ধোনীর আসল পরীক্ষা, যদি এই সিরিজে ধোনী ব্যর্থ হোন তাহলে নির্বাচকদের তার ব্যাপারে ভেবে দেখা দরকার। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ব্যর্থ হলে যে তিন কারনে তার বিকল্প দেখা উচিত :
** পরবর্তী বিশ্বকাপ :

যেহেতু পরবর্তী বিশ্বকাপের কেবল আর দুবছর বাকি আছে এই সময় অন্য কাউকে নিলে সে স্থির হতে এবং মানিয়ে নিতে সময় পাবে। যদি ধোনী ব্যর্থ হোন তবে নতুন যে আসবে তার যথেষ্ট সময় পাওয়া উচিত।
**ধোনীর খেলা শেষ করে আসার ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া :
ফিনিশার হিসেবে খ্যাত ধোনীর সেই খ্যাতি বর্তমানে যেন কেবল ই অতীতের ছায়ায় ঢাকা, ৬ নম্বর ব্যাটিং নেমেও আগের মত দ্রুত গতিতে রান তুলতে পারেন না।
** রিসাব পান্ডের উৎথান :
গত কয়েক বছরে রিসাবহ পান্ডে প্রমাণ করে দিয়েছেন যে তিনি ধোনীর জায়গা নিতে কতটা প্রস্তুত। বছরে শুরুতে অভিষেক হওয়া ১৯ বছর বয়স্ক এই উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান আইপিএল ও রন্জি ট্রফিতে এর ই ভিতরে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। সর্বশেষ রন্জি ট্রফিতে মাত্র ৮ ইনিংসে করেছেন ৯৭২ রান, যাতে চারটি শতক ও কয়েকটি অর্ধ শতক আছে। দিল্লী ডেরিডেভিলর্সের হয়ে ১৪ ম্যাচে করেছেন ৩৬৬ রান।