চলতি বছরের শুরুতে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ভারত জয় পেলেও ব্যাট হাতে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি অধিনায়ক বিরাট কোহলি। সদ্য শেষ হয়ে যাওয়া আইপিএলেও ঠিক একই অবস্থা। অফ ফর্মের কবলে পড়ে থাকা বিরাট যেমন ব্যাট হাতে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ থেকে গিয়েছেন, পাশাপাশি তাঁর টিম আরসিবিও আইপিএল দশে চূড়ান্ত ফ্লপ হয়েছে। যার ফলে প্লে অফে ওঠার রাস্তা থেকে সবার আগে কোহলির দল ছিটকে গিয়েছিল। এই মুহূর্তে আইপিএল আবহ থেকে বেরিয়ে আসন্ন জুনের একেবারে প্রথম দিকে ইংল্যান্ডে আয়োজিত হতে চলা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দিকেই আপাতত সবার নজর। লন্ডনে আয়োজিত হতে চলা ওই মিনি ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভালো ফলাফল করার লক্ষ্যে চূড়ান্ত প্রস্তুতির দিকে নজর দিয়েছেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররাও। এমনই এক পরিস্থিতিতে জানা গেল ভারতীয় ক্রিকেট দলের নেতা বিরাট কোহলি নাকি ২৮০ করেছেন। এখন তো কোনও টুর্নামেন্ট নেই, তাহলে কোহলি কিভাবে মাঠের বাইরে থেকেও ২৮০ স্কোর করলেন? যদিও এ রহস্যের পর্দা উন্মোচন করে জানা গেল, কোহলি এই স্কোর ক্রিজে নয়, রেকর্ডটি গড়েছেন রেসের সার্কিটে।
ভারতীয় দলের জন্য নতুন চাহিদা বিরাট-কুম্বলের, নামটা জানালেন হরভজন সিং!
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যোগ দেওয়ার জন্য আজই লন্ডনগামী বিমানে ওঠার কথা টিম ইন্ডিয়ার। বিদেশ পাড়ি দেওয়ার আগে সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে টিম ইন্ডিয়ার নেতা কোহলি নিজের শখ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জানিয়ে ফেলেন, বৃহস্পতিবার সার্কিটে তিনি নিজের পছন্দের অডি স্পোর্টস কারটি ২৮০ কিমি গতিতে চালিয়েছেন। আর এটা করে তিনি নাকি দারুণ থ্রিল অনুভব করেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “এর আগেও আমি ২৯০ কিমি গতিতে গাড়ি চালিয়েছিলাম। এবারেও রেসের ট্র্যাকে তেমনই গাড়ি চালালাম। যদিও পেশাদার ড্রাইভারের মতো আমি শেষ মুহূর্তে ব্রেক মারতে পারি না। শুধু জোরে গাড়ি চালাতে নয়, একইভাবে ভালো মিউজিকও শুনতে পছন্দ করি।”
নিজে জোরে গাড়ি চালালেও, অন্যদের সতর্ক হয়ে গাড়ি চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন কোহলি। তিনি আরও বলেন, “প্রত্যেক চালকদেরই সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি চালানো উচিত। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই সবার গাড়ি চালানো উচিত। যদিও আজও অনেকেই নিয়ম মেনে গাড়ি চালান না। একজন দায়িত্বশীল নাগরিকের উচিত সবসময় নিয়ম মেনেই রাস্তায় গাড়ি চালানোর। প্রত্যেকের বোঝা উচিত, তাঁদের সামান্য একটা ভুলে অন্য কারোর জীবনে চিরতরে অন্ধকার ঘনিয়ে আনতে পারে।”
দিল্লিতে এখন তিনি থাকেন না। তবে নিজের জন্মভূমি দিল্লিতে ফিরলে কোহলি নাকি রীতিমতো নস্টালজিক হয়ে ওঠেন। এ ব্যাপারে কোহলি বলেন, “আমি দিল্লিতেই বড় হয়েছি। এখানেই ক্রিকেট খেলেছি। আমার গোটা পরিবার এখানেই থাকে। এখানে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। তাই দিল্লিতে ফিরলে কেমন যেন নস্টালজিক হয়ে পড়ি। আমি এখনও দিল্লির সেই সব জায়গায় ঘুরে বেড়াই, যেখানে একটা সময় ক্রিকেট খেলতাম।”