ইংল্যান্ড আর ওয়েলসে খেলা হওয়া আইসিসি বিশ্বকাপ ২২ বছর পর নতুন জয়ী পেয়েছে। ভীষণই রোমাঞ্চকর ফাইনালে দুই দলই ইংল্যান্ড আর নিউজিল্যান্ডের প্রদর্শন ভীষণই দুর্দান্ত থেকেছে। কিন্তু নিয়মের অন্যসারে শেষে খেতাব ঘরের দল ইংল্যান্ড পেয়েছে।
শেষমেশ ইংল্যান্ডের দল বিশ্বকাপের ৪৪ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। জয়ের পর চারদিকে খুশির পরিবেশ ছিল। কিন্তু এই দলের দুই খেলোয়াড় উৎসবে শামিল হননি। এর কারণ তাদের ধার্মিক কারণের সঙ্গে যোগ রয়েছে।
ধার্মিক কারণে উৎসবে শামিল হননি ২ খেলোয়াড়
বিশ্বকাপ ২০১৯এর বিজেতা দল ইংল্যান্ডের তারকা খেলোয়াড় মইন আলি আর আদিল রশিধ নিজদের ধার্মিক মান্যতার কারণে শ্যাম্পেন স্প্রে থেকে বাঁচার জন্য দলকের বিশ্বকাপ ট্রফি সমারোহে শামিল হননি। যদিও পরে তারা এই জয়ে শামিল হন আর ট্রফিতে সঙ্গে তাদের ছবি তুলতেও দেখা যায়। আপনাদের জানিয়ে দিই এমনটা প্রথমবার হয়নি যখন আদিল রশিদ এবং মইন আলি ইংল্যান্ডের জয়ে শ্যাম্পেন স্প্রের কারণে শামিল হলেন না।
এর আগেও ভারত আর ইংল্যান্ডের মধ্যে হওয়া পাঁচ টেস্ট ম্যাচে পাওয়া জয়ের পরও এই দুই খেলোয়াড় নিজেদের ধার্মিক মান্যতার কারণে উৎসবে শামিল হননি। আসলে যখনই কোনো দল ট্রফি জেতে তো তারা শ্যাম্পেনের বোতল দিয়ে এই মুহূর্তটিকে উপভোগ করে।
ভীষণই রোমাঞ্চকর থেকেছে ম্যাচ
বিশ্বকাপের ইতিহাসে আজ পর্যন্ত সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ম্যাচ লর্ডসের ঐতিহাসিক মাঠে খেলা হয়েছে। এই খেলায় দুই দলের প্রদর্শনে মন ছিল যার জন্য কোনো প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। নিউজিল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে ২৪১ রান করে তো ইংল্যান্ডও জবাবে ২৪১ রানই করে। এরপর সুপার ওভারেও ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে ১৫ রান করে তো নিউজিল্যান্ডও জবাবে ১৫ রানই করে। অর্থাৎ সুপার ওভারের পরও বিশ্বকাপ বিজেতা পাওয়া যায়নি। তারপর আইসিসির নিয়ম অনুসারে যে দল সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি মেরেছে সেই দলকে বিজেতা ঘোষণা করা হয়। যেখানে ইংল্যান্ড ২৬টি আর নিউজিল্যান্ড ১৭টি বাউন্ডারি মেরেছিল। পরিণাম হিসেবে ইংল্যান্ডকে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি মারার জন্য জয়ী ঘোষণা করা হয় এবং এরপর ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা আর তাদের সমর্থকরা জমিয়ে উৎসব পালন করেন।