আজ শনিবার ২৩ মার্চ থেকে আইপিএল শুরু হয়ে গিয়েছে। এই লীগের প্রথম ম্যাচ আজ চেন্নাই সুপার কিংস আর আরসিবির মধ্যে খেলা হয়েছে। আইপিএলের এই প্রথম ম্যাচ চেন্নাই সুপার কিংসের দল সহজেই ৭ উইকেটের ব্যবধানে জিতে নিয়েছে এই জয়ের সঙ্গেই পয়েন্ট টেবিলে ২টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট অর্জন করে নিয়েছে।
মাত্র ৭০ রানে আউট হয়ে যায় আরসিবির দল
এই ম্যাচের টস চেন্নাই সুপার কিংসের দল যেতে আর প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমে ব্যাট করতে নামা আরসিবির দল প্রথম ধাক্কা অধিনায়ক বিরাট কোহলির রূপে দলের ১৬ রানের মাথায় খায়। এরপর আরসিবির কোনো ব্যাটসম্যান চেন্নাই সুপার কিংসের স্পিনারদের সামনে টিকে থাকতে পারেন নি আর পুরো দল ১৭.১ ওভারে মাত্র ৭০ রানে আউট হয়ে যায়। আরসিবির ১০জন ব্যাটসম্যান তো দুই অঙ্কের সংখ্যাতেও পৌঁছতে পারেননি আর তারা মাত্র ৭০ রানেই আউট হয়ে যায়। দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৩৫ বলে ২৯ রানের ইনিংস ওপেনার পার্থিব প্যাটেল খেলেন। অন্যদিকে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে হরভজন সিং নিজের ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট হাসিল করেছেন। ইমরান তাহিরও নিজের ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট হাসিল করেন। রবীন্দ্র জাদেজা নেন ২ উইকেট।
চেন্নাই সহজেই হাসিল করে লক্ষ্য
জবাবে এই সহজ লক্ষ্যের তাড়া করতে নেমে চেন্নাই সুপার কিংসের শুরুটা খারাপ হয়, দলের ওপেনার শেন ওয়াটসন শূন্য রানেই আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান। যদিও এরপর সুরেশ রায়না আর আম্বাতি রায়ডুর মধ্যে দ্বিতীয় উইকেটের জন্য ৩২ রানের এক ভালো পার্টনারশিপ হয় আর চেন্নাইয়ের দল এই লক্ষ্যকে ১৭.৪ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে হাসিল করে নেয়। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে যেখানে আম্বাতি রায়ডু ৪২ বলে২৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন,সেখানে সুরেশ রায়না ২১ বলে ১৯ রানের যোগদান দেন। কেদার জাধবও দলে জয়ে অপরাজিত ১২ রানের যোগদান করেন। আরসিবির হয়ে যজুবেন্দ্র চহেল নিজের চার ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে এক উইকেট হাসিল করেন।
ম্যাচ শেষে আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলি বললেনে এই কথা
ম্যাচ শেষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর অধিনায়ক বিরাট কোহলি বলেন,
“কেউই এভাবে শুরু করতে চায়না, কিন্তু টুর্নামেন্টের শুরু দিকেই এই রকম আউট অফ দ্যা ওয়ে ম্যাচ পাওয়া বেশ ভাল। আমরা কথা বলে ম্যাচে থাকার চেষ্টা করেছি, ১৮ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ টেনে নিয়ে যেতে পারাটা বেশ ভালো। আমাদের ব্যাটিং খুব একটা ভালো হয়নি, এখানে ব্যাট করাটা খুব সহজ ছিলনা, যদিও পিচ খুব ভালো দেখাচ্ছিল, আমি ভেবেছিলাম ১৪০-১৫০ রানের স্কোর উপযুক্ত হতে পারে, বিশেষ করে শেষের দিকে শিশির পড়ার ব্যাপার ছিল।”
বিরাট আরো বলেন,
“এই টুর্নামেন্টে খুবই খারাপ শুরুয়াত, কিন্তু আমার মনে হয়না এটার উপর দলের কোনো নিয়ন্ত্রন ছিল, চার দিন ধরে পিচ ঢাকা ছিল, কিন্তু আমাদের আরো ভালো ব্যাট করা উচিৎ ছিল, ১১০-১২০ একটা লড়াইয়ের মত স্কোর হতে পারত। সাইনি খুব ভালো পরিস্থিতিতে ছিল, এই ধরণের পিচে যেখানে কিছু ঘাস রয়েছে এই পরিস্থিতিতে সাইনি খুব ভালো, ও এখন সুযোগ পেয়েছে। আমার মনে হয় সিএসকে সত্যিই ভালো খেলেছে, ওরা জয়ের দাবীদার, কিন্তু আমার দল যেভাবে লড়াই করেছে তা দেখা খুবই তৃপ্তিদায়ক”।