পুরো বিশ্বে এই মুহূর্তে চারদিকেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। করণা নামক প্রাণঘাতী ভাইরাস মানুষের খুশি ছিনিয়ে নিয়েছে, আর প্রত্যেক দিন একের পর এক দেশ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে, যার ফলে মানুষ বাড়ি থেকে বেরোনোই বন্ধ করে দিয়েছে। সমস্ত দেশগুলিতেই প্রায় নিরবতাই বিরাজ করছে।
করোনার আতঙ্কে আর্ধেক পৃথিবীতেই হাহাকার
প্রায় দু মাস আগের কথা, যখন চীনের বুহান শহর থেকে করনা নামের একটি ভাইরাস বেরোয় যা এখন ধীরে ধীরে পুরো বিশ্বেই আতঙ্ক হিসেবে ছড়িয়ে পড়েছে। এই ভাইরাসে এখন বিশ্বের প্রায় ১৫০ দেশ আক্রান্ত হয়ে গিয়েছে আর ১.৫০ লাখের বেশি মানুষকে সংক্রামিত করে ফেলেছে। যার মধ্যে ৫ হাজারের বেশি মানুষের অসময়ে মৃত্যু হয়েছে।
খেলোয়াড়ের উপরেও করোনার প্রভাব, এক মহিলা ফুটবলারের মৃত্যু
করোনা ভাইরাসের প্রভাব এখন খেলার মাঠেও সম্পূর্ণ প্রভাব দেখা শুরু করে দিয়েছে। যার ফলে প্রথম মাঠে দর্শক আসার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল আর এখন খেলা বাতিক করে মাঠের পর মাঠ শূন্য করে দেওয়া হয়েছে। করোনা সাধারণ মানুষের পাশাপাশি খেলোয়াড়রা বাঁচতে পারেনি আর কিছু খেলোয়াড় এই প্রাণঘাতি ভাইরাসে সংক্রামিত হয়েছেন। ফুটবলের খেলোয়াড়রা সবচেয়ে বেশি করোনার শিকার হচ্ছেন, যার মধ্যে একটি বিষয় সামনে এসেছে যে ইরানের মহিলা ফুটবলার ইলহম শেখী ২৭ ফেব্রুয়ারি মারা গিয়েছেন। করোনা ইরানের রাজধানী তেহেরান থেকে ১৫০ কিমি দূরে কউমে দারুণ আতঙ্ক ছড়িয়েছে যেখানে ইলহম শেখ সহ প্রায় ৫০জনের মৃত্যু হয়েছে।
বেশকিছু ফুটবলার হয়েছেন করোনায় সংক্রামক, করে দিয়েছে একদমই আলাদা
ইরানের এই খেলোয়াড় ছাড়াও ইটালি ফুটবল লীগ সিরি এ-র জুভেন্টাসের তারকা খেলোয়াড় ড্যানিয়েল রুগানীও করো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই তারকা খেলোয়াড়কে এখন দেখরেখে রাখা হয়েছে। রুগানীর করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তারকা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর সমর্থকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল কারণ রুগানীও রোনাল্ডোর সঙ্গেই খেলেন। কিন্তু রোনাল্ড সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রয়েছেন। ফুটবলের খেলোয়াড়রাই এই ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। যার মধ্যে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে খেলা উইঙ্গার ক্যালমের মধ্যেও করোনার লক্ষ্মণ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। অন্যদিকে ইটালিরইক্লাব সিরি এ-তেই খেলা মলোনো গাবাদিনিও করোনার সংক্রামণ থেকে রক্ষা পাননি। এই সমস্ত খেলোয়াড়দের আলাদাভাবে রাখা হয়েছে যাতে বাকি খেলোয়াড়রা এই ভাইরাসে আক্রান্ত না হন।