ওয়েলিংটন টেস্টে ভারতীয় দলকে মুশকিলে দেখাচ্ছিল। দিনের খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত ভারতের স্কোর ৫ উইকেটে ১২২ রান ছিল। দিনের খেলা শেষ হওয়ার পর্যন্ত সহঅধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে ৩৮ আর ঋষভ পন্থ ১০ রান করে ক্রিকেট উপস্থিত ছিলেন। যদিও টি-ব্রেকের পরের খেলা বৃষ্টির কারণে হতে পারেনি। ভারতীয় দলের পরিস্থিতি এই মুহুর্তে ভীষণই গুরুতর। কিন্তু যতক্ষণ সহঅধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে উপস্থিত রয়েছেন ক্রিজে ভারতীয় দলের সমর্থকরা নিরাশ হবেন না কারণ অজিঙ্ক রাহানে এই পরিস্থিতি থেকে আগেও দলকে টেনে তুলেছেন।
আজ কী ২০১৪র প্রদর্শনের পুনরাবৃত্তি করতে পারবেন রাহানে?
আসলে নিউজিল্যান্ডের ২০১৪র সফরে ওয়েলিংটন টেস্ট টিম ইন্ডিয়ার এমনই পরস্থিতি ছিল। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে আভ্রতীয় দলের মিডল অর্ডার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছিল। চেতেশ্বর পুজারা, মুরলী বিজয়, রোহিত শর্মা তথা বিরাট কোহলির মতো ব্যাটসম্যান সস্তায় আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছিলেন। এই অবস্থায় সমস্ত দায়িত্ব ৭ নম্বরে ব্যাটিং করা অজিঙ্ক রাহানের উপর এসেছিল আর তিনি দলকে নিরাশও করেননি। ওই ম্যাচে ভারতের হয়ে অজিঙ্ক রাহানে শিখর ধবনের সঙ্গে মিলে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেছিলেন।
অজিঙ্ক রাহানে খেলেছিলেন ১১৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস
তবে শিখর ধবন মাত্র ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করার পর ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা সামান্য নিরাশ অবশ্যই হয়েছিলেন। কিন্তু রাহানে ধৈর্য্য ধরে খেলে কেরিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছলেন। ২৫ বছরের রাহানে এই ম্যাচে ধৈর্য্য ধরে খেলে ১৫৮ বলের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তিনি নিজের ১১৮ রানের ইনিংসে ১৭টি বাউন্ডারি এবং ১টি ছক্কাও মারেন। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে বিরাট কোহলিও সেঞ্চুরি ইনিংস খেলেছিলেন। তবে ম্যাচের ফলাফল কারো পক্ষে যায়নি আর দুই দলকেই ড্র করে সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
রাহানে ওই ম্যাচে ছুঁয়েছিলেন কপিলদেবকে
৭ নম্বরে বিদেশী পিচে খেলে সেঞ্চুরি করা সহজ কাজ নয়, কিন্তু রাহানে নিজের টেকনিকের সাহায্যে এই কাজকে সহজেই করে ফেলেন। এই সেঞ্চুরির সঙ্গেই তিনি বিদেশের মাঠে ৭ নম্বরে খেলে সেঞ্চুরি করা ২৫ বছরের কম বয়সের চতুর্থ ভারতীয়ও হয়েছিলেন। তার আগে ১৯৮৩তে ৭ নম্বরে ব্যাটিং করে কপিলদেব ওয়েস্টইন্ডিজে অপরাজিত ১০০ রান করেছিলেন। এই কারণে যতক্ষণ অজিঙ্ক রাহানে ক্রিজে উপস্থিত রয়েছেন ততক্ষণ ভারতীয় দল তথা সমর্থকরা বেশি নিরাশ হবেন না।