যদি আগামীকাল বিশ্বকাপ শুরু হয় , ইংল্যান্ড স্পষ্ট ফেভারিট হিসাবেই টুর্নামেন্ট শুরু করবে। যাইহোক, এক বছর সময় একটি দীর্ঘ সময় এবং এর মধ্যে অনেক কিছুই পরিবর্তন সম্ভব।
২০১৫ সালের বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ড থেকে বাদ পড়ার পর ইংল্যান্ড দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এরপর ইয়োন মরগানের নেতৃত্বাধীন দল কিছু নির্ভীক ক্রিকেট খেলেছে। এছাড়া আসন্ন ক্রিকেট বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ইংল্যান্ডের ঘরের মাটিতে। যার কারণে আগামী বিশ্বকাপের জয়ের জন্য পরিষ্কার ফেভারিট ইংল্যান্ড।
তবে শুধু ইংল্যান্ড নয় তাদের পাশাপাশি আরো কিছু দল রয়েছে যারাও ফেভারিট হিসেবে টুর্নামেন্ট শুরু করবে এবং স্বাগতিকদের চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে তারা।
চলুন দেখে নিই এমনই ৫টি দলের তালিকা-
৫. অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রিলিয়া বর্তমানে পুনরায় দল সাজানোর পর্যায়ে থাকতে পারে, এমনকি নিজেদের ক্রিকেট ফর্মের সবচেয়ে বাজে সময় কাটাতে পারে তারা, তবে আপনি এত সহজে তাদেরকে আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে দুর্বল হিসেবে দেখতে পারবেন না। তারা হচ্ছে ৫০ ওভারের ক্রিকেট বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দল এবং তারা জানে কিভাবে বড় টুর্নামেন্টে ভালো করতে হয়।
অস্ট্রেলিয়া দলের মূল দুই ব্যাটিং কান্ডারি স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার বর্তমানে নিষেধাজ্ঞায় আছেন তবে আগামী বছর বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগেই তাদের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হবে এবং তারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবেন। তারা দলে ফিরলে নিঃসন্দেহে শক্তি বৃদ্ধি পাবে দলের।
৪. নিউজিল্যান্ড

নিউজিল্যান্ড সব সময়ই তাদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে আসছে। তারা একটি স্থায়ী স্কোয়াড তৈরি করেছে এবং তাদের দলে রয়েছে এমন কিছু অলরাউন্ডার যারা যেকোনো মূহুর্তে খেলার ফলাফল পরিবর্তন করে দিতে পারে। পাশাপাশি তাদের আছে কেন উইলিয়ামসনের মত অসাধারণ একজন দলনেতা যিনি একজন দারুণ ব্যাটসম্যানও।
গত বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ পর্যন্ত শিরোপা জয়ের দৌড়ে টিকে ছিল তারা শেষে যদিও রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল তাদেরকে। তবে এবারের বিশ্বকাপে তারা অবশ্যই চাইবে আরো একধাপ এগিয়ে যেতে।
৩. পাকিস্তান

ক্রিকেটে বলা হয়ে যাকে, ব্যাটসম্যানরা আপনাকে ম্যাচ জেতাতে পারে আর বোলাররা পারে টুর্নামেন্ট জেতাতে। আর পাকিস্তান দলে সবসময়ই কিছু বোলার থাকেন যারা বড় আইসিসি ইভেন্টে বড় দলের সাথে অঘটন ঘটাতে পারে।
বর্তমান পাকিস্তান দলে রয়েছে এমনই কিছু বোলার যার মধ্যে হাসান আলি এবং মোহাম্মদ আমির অন্যতম। তারা অতীতেও দলকে অনেক জয় উপহার দিয়েছেন।
এদিকে, গত বছরই ইংল্যান্ডের মাটিতে গিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা জয় করেছে পাকিস্তান। তাই স্পষ্টত ভাবেই আগামী বিশ্বকাপে ফেভারিট হিসেবেই টুর্নামেন্ট শুরু করবে “মেন ইন গ্রীন”।
৪. দক্ষিণ আফ্রিকা

আইসিসির বড় টুর্নামেন্ট গুলোতে দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাস খুবই হতাশাজনক। তাদেরকে এমনকি চোকার্স উপাধিও দেয়া হয়েছে বিশ্বকাপে ভালো করতে না পারার কারনে। তবে তারা অবশ্যই চাইবে ইংল্যান্ডের মাটিতে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে।
যদিও কিছুদিন আগেই হঠাৎ করেই ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স। এটি নিঃসন্দেহে একটি দুঃসংবাদ দলের জন্য। তবে দলে আরো কিছু দারুণ ব্যাটসম্যান আছেন যারা দলকে যেকোনো মূহুর্তে ব্যাট হাতে জয়ের বন্দরে নিয়ে যেতে সামর্থ্য রাখেন।
১. ভারত

সংক্ষিপ্ত ফরমেটের ক্রিকেটে দারুণ ফর্মে আছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। আগামী বিশ্বকাপে ভালো করার জন্য মুখিয়ে আছে তারা। বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারত অবশ্যই চাইবে আগামী বিশ্বকাপের ট্রফিটা নিজেদের করে নিতে।
ভারতের বর্তমান দলটি তাদের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম ভারসাম্যপূর্ণ একটি দল। দুই কব্জি স্পিনার যুভেন্দ্র চাহাল ও কুলদিপ যাদভ বর্তমানে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন এবং অবশ্যই চাইবেন বিশ্বকাপেও এই ফর্ম ধরে রাখতে।
ভারত বর্তমান ওয়ানডে র্যাংকিং ইংল্যান্ডের পরেই দুই নাম্বারে অবস্থান করছে। তাই বলা যায়, আগামী বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য বর্তমান ভারতীয় দলটি যথেষ্ট শক্তিশালী।