পুরো বিশ্বেই এই মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিশ্বের ১৮৮টি দেশে চিন থেকে উৎপন্ন হওয়া করোনা ভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়েছে। করোনা ভাইরাসে পুরো বিশ্ব আক্রান্ত যারপর এখন তো চারদিকে শুধু বাঁচার চেষ্টাই দেখা যাচ্ছে। বিশ্বে এত ভয়ঙ্কর আতঙ্ক আগে সম্ভবত আর কখনো দেখা যায়নি।
করোনার বেড়ে চলা প্রভাবের কারণে আইপিএল ১৩র আয়োজন মুশকিল
করোনা ধীরে ধীরে নিজের খুনি রূপ দেখাচ্ছে, যার ফলে এখনো পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার মানুষ মারা গিয়েছেন। করোনা ভাইরাসের এই ভয়ঙ্ক রূপ দেখে পুরো বিশ্বই প্রায় থেকে গিয়েছে, যেখানে প্রায় সব কাজই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একই ভাবে খেলার মাঠও কিছুদিন ধরে শূন্য পড়ে রয়েছে, যেখানে জনমানবও দেখা যাচ্ছে না। এর মধ্যে করোনার বেড়ে চলা প্রভাব দেখে বিসিসিআই কিছুদিন আগেই ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের আয়োজনকে স্থগিত করে দিয়েছেন।
বিসিসিআই যে কোনো সময়ই আইপিএলের আয়োজন করতে প্রস্তুত
বিসিসিআই কিছুদিন আগে বড়ো সিদ্ধান্ত নিয়ে আইপিএলের এই মরশুমকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করে দিয়েছিল কিন্তু যেভাবে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস নিজের ভয়ঙ্কর রূপ দেখিয়ে চলেছে তা দেখে বর্তমানে আইপিএলের শুরু হওয়া মুশকিল দেখাচ্ছেম তো অন্যদিকে এর বাতিল হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে গিয়েছে। যেখানে পুরো বিশ্ব করোনার আতঙ্কে হাহাকারে ভরে গিয়েছে কিন্তু অন্যদিকে বিসিসিআই এপ্রিলে আইপিএলের আয়োজন না হওয়া মে মাসেও এটা আয়োজিত করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। বিসিসিআই এখন থেকে আইপিএলকে যে কোনো সময় শুরু করার প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে।
মে মাসের প্রথম সপ্তাহেও বিসিসিআই এই প্যাটার্নেই আয়োজন করতে প্রস্তুত
মিডিয়া রিপোর্টগুলিতে বিসিসিআইয়ের এক আধিকারিকের তরফে বলা হয়েছে যে বর্তমানে আইপিএলের ভবিষ্যত বলা মুশকিল। কিন্তু বোর্ড ২০০৯ সালের আইপিএলের প্যাটার্নকে গ্রহণ করতে পারে। অর্থাৎ এটা পরিস্কার যে, যে কোনো পরিস্থিতিতে বিসিসিআই কম সে কম দিনেও আইপিএলের আয়োজন করাতে প্রস্তুত। আপনাদের জানিয়ে দিই যে ২০০৯ সালে ভারতে লোকসভা নির্বাচনের কারণে আইপিএলের আয়োজন দক্ষিণ আফ্রিকায় করা হয়েছিল। সেখানে ৩৭ দিনে ৫৯টি ম্যাচ খেলা হয়েছিল। এবারও বিসিসিআই এমনই কিছু করতে প্রস্তুত। কিন্তু আইপিএলের আয়োজন কম সে কম মে মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হয়ে যাওয়া উচিত তখনই এটা সম্ভব হতে পারে।
আইপিএল হলে এই চারটি মাঠে খেলা সম্ভব হবে
যদি সরকারের কাছ থেকে বিসিসিআই আইপিএল করার অনুমতি পেয়ে যায় আর তারা যদি কম সময়েই আইপিএলকে সম্পূর্ণ করতে চায় তো এর জন্য তারা মহারাষ্ট্রকে বাছতে পারে। কারণ মহারাষ্ট্রে ৪-৫টি বড়ো বড়ো আন্তর্জাতিক মাঠ রয়েছে। মুম্বাইতেই ৩টি মাঠ রয়েছে অন্যদিকে একটি মাঠ পুণে আর একটি নাগপুরে রয়েছে। এই অবস্থায় খেলোয়াড়দের বেশি সফর করতে হবে না তো সময়ও বেঁচে যাবে।