এ কথা সকলেই জানেন যে বিসিসিআই বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বোর্ড আর তারা নিজেদের খেলোয়াড়দের এবং কোচিং স্টাফদের মোটা টাকা মাইনেও দেয়। অন্যদিকে ঘরোয়া স্তরে ব্যবহৃত ভিজেডি মেথড নিয়ে একটা চমকে দেওয়ার মতো কথা সামনে এসেছে যে বিসিসিআই সেই ব্যক্তিকে গত ১০ বছর ধরে একটিও টাকা দেয়নি আর খোলাখুলি এই মেথডের ব্যবহার করছে।
ভিজেডি মেথড কি?
ভারতের ঘরোয়া স্তরে বছরভর তিন ফর্ম্যাট মিলিয়ে সমস্ত ম্যাচ খেলা হয়। এই ম্যাচগুলিতে কখনো কখনো বৃষ্টির কারণে বাঁধার সৃষ্টি হয় তো ম্যাচ পূর্ণ হতে পারে না। এর জন্য যেভাবে আন্তর্জাতিক স্তরে ডাকওয়ার্থ লুইস মেথড ব্যবহার করা হয় সেই রকমভাবেই ঘরোয়া ম্যাচে ভিজেডি মেথডের ব্যবহার করা হয়। এই মেথড ২০০৭ থেকে ঘরোয়া ক্রিকেট ব্যবহৃত হচ্ছে আর এখনো পর্যন্ত ৫০০রও বেশি ম্যাচের পরিণাম এই পদ্ধতিতে নির্ধারিত হয়েছে।
১০ বছর ধরে বিসিসিআই দেয়নি টাকা
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্টের অনুসারে, ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রায় ১২ বছর ধরে ঘরোয়া ক্রিকেটে ভিজেডি মেথডকে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এটা তৈরি করা ভি জয়দেবনকে বিসিসিআইয়ের তরফে গত দশ বছর ধরে কোনো রকম আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়নি। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টের অনুসারে ভি জয়দেবন জানিয়েছেন,
“গত ১২ বছর ধরে ঘরোয়া ক্রিকেটে ৫০০ ম্যাচের ফলাফল ভিজেডি পদ্ধতির সফলতাপূর্বক ব্যবহার করে বার করা হয়েছে। এমনকী টি-২০ লগের মত কর্ণাটক প্রিমিয়ার লীগ আর তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লীগেও এর ব্যবহার করা হয়। কিন্তু যতদূর গত দু দশকে আমার প্রয়াসের কথা বলা যায় তো না আমি কোনো ধরণের পরিচিতি পাইনি আর না কোনো আর্থিক লাভ পেয়েছি”।
শুরুতে পেয়েছিলেন ৫ লাখ টাকার সাহায্য
রিপোর্টের অনুসারে ভি জয়দেবন আরো বলেছেন,
“শুরুতে আমি এই পদ্ধতির বিকাশের জন্য আর্থিক সাহায্যের দাবী করেছিলাম। এর পর কেরল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সচিব টিসি ম্যাথু আমাকে তৎকালীন বিসিসিআই সচিব এন শ্রীনিবাসনের অফিসে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে ২০০৯ সালে আমাকে ৫ লাখ টাকার সাহায্য করা হয়। কিন্তু তারপর থেকে বিসিসিআইয়ের তরফে আমাকে কোনো আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়নু। আমি এই পদ্ধিতিকে বর্তমান কন্ডিশনের অনুসারে আরো সহজ বানাতে চাই যাতে এর ব্যবহার করতে আরো সুবিধা হতে পারে”।
যদিও এখন বিসিসিআইয়ের জেনারেল ম্যানেজার (ক্রিকেট অপারেশন) সাবা করিম এই মামলাকে বোর্ডের বড়ো অফিসারদের সামনে নিয়ে যাবেন।