এই মুহূর্তে বিসিসিআইয়ের সমস্যা কম হওয়ার নামই নিচ্ছে না। আসলে পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার পর বিসিসিআই আইসিসিকে চিঠি লিখেছিল, এতে বিসিসিআই পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ ২০১৯ থেকে বাদ দেওয়ার দাবী জানিয়েছিল। জানিএ দিই য এই মামলা শনিবার আইসিসির বোর্ড বৈঠক চলাকালীণ উঠেছিল।
এই বৈঠকের অধ্যক্ষতা আইসিসির চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর করেছিলেন। বিসিসিআইয়ের এই দাবীর উপর বেশি বিচার বিমর্শ করা হয়নি আর বিসিসিআইয়ের এই দাবীকে নাকচ করে দেওয়া হয়।
আইসিসি বিসিসিআইকে দিল আরো একটি ধাক্কা
এখন এর মধ্যে আইসিসি বিসিসিআইকে আরো একটি বড়ো ধাক্কা দিয়েছে। আইসিসি বিসিসিআইকে বলেছেযে তাদের ভবিষ্যতে হতে চলা ২০২১ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আর ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ প্রতিযোগীয়ার জন্য ১৫০ কোটি টাকার করের দায়িত্ব নিতে হবে। বিসিসিআই যদি এর জন্য সাধারণ নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত সময় চেয়েছে আর আইসিসি এই সময় তাদের দিয়েও দিয়েছে।
বিসিসিআইকে করতে হতে পারে ১৫০ কোটির লোকসান
আইসিসির বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের জন্য সদস্য দেশ থেকে কর ছুট পায়, কিন্তু ২০১৬ সালে ভারতে হওয়া টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হয়নি, কারণ ভারতীয় কর আইন এই ধরণের ছাড়ের অনুমতি দেয় না। জানিয়ে দিই যে আসিসির চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর বিসিসিআইকে বলেছে যে যদি তাদের ভারত সরকারের নিয়মানুসারে কর ছাড় না পাওয়া যায় তো ভারতীয় বোর্ডকে করের ভুগতান করতে হবে। যার মূল্য প্রায় ১৫০ কোটি টাকা।
শশাঙ্ক বলেন, করের ব্যাপাএ বিসিসিআইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার দরকার
বিসিসিআইয়ের এক সিনিয়ার আধিকারিক নাম না বলার শর্তে বলেন, “শশাঙ্ক মনোহর স্পষ্টভাবে বলেন, করে ছাড়ের ব্যাপারে বিসিসিআইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন। চুক্তিতে এমন ধারাও রয়েছে, যে যাতে যদি ঘরের দলের কাছে করে ছাড়ের নিয়ম না থাকে, তো প্রায়োজককেও করের দায়িত্ব নিতে বলা যেতে পারে, এইকারণে বিসিসিআই নিজের অধিকারের আন্তর্গত বিভিন্ন প্রায়োজককে এই ভারত নিতে বলতে পারে”।
অন্যদিকে এই বিষয়ে সিওএর প্রধান বিনোদ রায় বলেন, “করের নিয়ম যথেষ্ট প্যাঁচালো। আমি এই বিষয়ে তখনই মন্তব্য করব যখন আমাকে এই ব্যাপারে সমস্ত তথ্য দেওয়া হবে। যদিও আমার মনে হয়না যে এই বিষয়কে নেপটানো যেতে পারে”।