করোনার সময় পুরো বিশ্বকে একটা আলাদাই জীবন বাঁচতে বাধ্য করে দিয়েছে । করোনা ভাইরাস দেখতে দেখতে আজ একটা বিশ্বস্তরীয় সমস্য তৈরি হয়ে গিয়েছে, যার ফলে মানুষকে যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। একদিকে করোনা বিশ্বে নিয়মিত বেড়ে চলেছে অন্যদিকে বিশ্বের সমস্ত সেক্টরে আর্থিক ক্ষতি হয়ে চলেছে।
করোনার মার বিসিসিআইয়ের উপর পড়ছে ভারি
আর্থিক সংকটের কথা বলা হলে ক্রিকেটে সমস্ত দেশের বোর্ডগুলির যথেষ্ট লোকসান হচ্ছে। করোনার কারণে হওয়া এই লোকসানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইও বাঁচতে পারেনি। বিশ্বজোড়া মহামারীর যথেষ্ট বেশি প্রভাব পড়ছে যার মধ্যে বিসিসিআইয়ের গত কিছু মাসে দারুণ লোকসান হয়েছে। এখন বিসিসিআইয়ের সামনে আরও একটি সংকট এসে দাঁড়িয়েছে।
ভারতীয় দলের জার্সির স্পনসরশিপে দেখা যাচ্ছে না কোনো কোম্পানির আগ্রহ
আইপিএলের টাইটেল স্পনসর ভিভো এক বছরের চুক্তি শেষ করেছে। যারপর বিসিসিআইকে আইপিএলের টাইটেল স্পনসর হিসেবে ড্রিম ইলেভনকে যুক্ত করতে হয়েছে। অন্যদিকে এরপর এখন ভারতীয় ক্রিকেট দলের জার্সি জন্য কোনো স্পনসর পাওয়া যাচ্ছে না। ভারতীয় ক্রিকেট দলের জার্সির স্পনসর করা কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। আর এখন তারা চুক্তি বাড়াতে চাইছে না। এই কারণে বিসিসিআই জার্সির স্পনসরশিপের জন্য টেন্ডার ডেকেছিল, কিন্তু কোনো কোম্পানিই এতে আগ্রহ দেখায়নি।
বিসিসিআইয়ের হতে পারে বড় লোকসান
নাইকির সঙ্গে চুক্তি শেষ হওয়ার পর বিসিসিআই টেণ্ডার জারি করেছিল। এর মধ্যে জার্মানির কোম্পানি পুমা ছাড়াও অ্যাডিডাসের সঙ্গে চুক্তির সম্ভবনা প্রবল ছিল। মনে করা হচ্ছিল যে এই দুই কোম্পানির মধ্যে কোনো একজনের চুক্তি হতে পারে। কিন্তু টেন্ডারের তারিখ দেওয়ার পরও কোনো কোম্পানি আগ্রহ দেখায়নি। এই অবস্থায় এখন ভারতীয় দলকে নিজেদের আগামী যে কোনো আন্তর্জাতিক সিরিজে কোনো স্পনসরশিপ জার্সি ছাড়াই মাঠে নামতে হবে। বিসিসিআই নাইকির সঙ্গে ৪ বছরের জন্য ৩৭০ টাকার চুক্তি করেছিল কিন্তু মার্কেট এক্সপার্টদের কথা মানা হলে এখন বিসিসিআইকে এত টাকা কেউই দেবে না।