আইপিএল ২০২১ স্থগিতের পরে এখন বোর্ডের ক্ষয়ক্ষতির কথা উঠে আসছে। বোর্ডটি একটি মরসুম থেকে গড়ে চার হাজার কোটি টাকা আয় করে। তবে চলতি মরসুমে ৬০ টির মধ্যে মাত্র ২৯টি ম্যাচ খেলা হয়েছে এবং করোনার (কোভিড-১৯) কারণে টি-টোয়েন্টি লিগ পিছিয়ে রাখতে হয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে বোর্ডের ২৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত লোকসান হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিসিসিআইয়ের একটি সূত্র বলেছে, “মাঝামাঝি মরসুমে লিগটি স্থগিতের কারণে আমরা ২০০০ থেকে ২৫০০ কোটি টাকার মধ্যে হারাতে পারি। যদি আমরা সঠিক অনুমানের বিষয়ে কথা বলি তবে এটি প্রায় ২২০০ কোটি টাকা হয়ে যাবে।” ৫২ দিনের এই টুর্নামেন্টটি ৩০ মে এর মধ্যে খেলতে হবে। সেখানে ৩১টি ম্যাচ আরও অনুষ্ঠিত হবে। সম্প্রচারের আয় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। গত মরসুমের মত দর্শক ছাড়া ম্যাচগুলি করা হচ্ছে। বোর্ড ও ফ্রাঞ্চাইজিদের কাছেও টিকিটের রাজস্ব হারাচ্ছে।
স্টার পাঁচ বছরের জন্য ১৬ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকায় চুক্তি করেছিলেন। অর্থাত্, যখন কোনও ম্যাচ আসে, তখন এর মূল্য আসে প্রায় ৫৪.৫ কোটি টাকা। বোর্ড কেবল স্টার থেকে ২৯ ম্যাচ থেকে ১৫৮০ কোটি টালা পাবেন। তবে ৩১ ম্যাচের অনুপস্থিতিতে প্রায় ১৯০০ কোটি টাকা লোকসান হবে। একইভাবে, ৪৪০ কোটি টাকা টাইটেল স্পনসরদের কাছ থেকে পাওয়া উচিত ছিল। অর্ধেক টুর্নামেন্টের কারণে, মাত্র অর্ধেক অর্থাত্ ২২০ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। এর বাইরে অন্যান্য স্পনসরদের কাছ থেকে প্রাপ্ত পরিমাণেও একই রকম হ্রাস আসবে।
বোর্ড আধিকারিক জানিয়েছেন যে এতে কমপক্ষে ২২০০ কোটি টাকা লোকসান হবে। যদিও বাস্তবে ক্ষতি বেশি হবে। তবে যে হিসাব করা যায় তা অনুসারে ক্ষতির পরিমাণ অনুমান করা হয়েছে। তবে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির কত ক্ষতি হবে তা এই কর্মকর্তা জানাননি। বোর্ড তার আয়ের কিছু অংশ ফ্র্যাঞ্চাইজিতেও অবদান রাখে। উপার্জন কম হলে ফ্র্যাঞ্চাইজিও কম শেয়ার পাবে।