করোনা অতিমারির এই কঠিন সময়েও বিসিসিআই এর পূর্ণ উদ্যোগে এবং এমিরেটস ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সহায়তায় সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে হয়েছে আইপিএল এর ত্রয়োদশ সংস্করণ। দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলা হলেও সেই রোমাঞ্চ এবং বিনোদন বজায় ছিল এই বছরের আইপিএল এও। স্পনসরশিপ এবং দর্শকদের অর্থ অনেকটাই কমে যাওয়ায় অনেকেই মনে করেছিল, এই বছরের আইপিএল এ কিছুটা লোকসানের মুখ দেখতে পারে ভারতীয় বোর্ড। কিন্তু লোকসান তো হলই না, বরং আরও বেশি লাভবান হয়েছে বিশ্বের সবথেকে ধনী ক্রিকেট বোর্ড।
আইপিএল এর ইতিহাসে সব থেকে বেশি ভিউয়ারশিপের রেকর্ড করেছে এই বছরের আইপিএল। টেলিভিশন ভিউয়ারশিপ এক ধাক্কায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে। এবং এর ফলে বিসিসিআই এর রাজকোষে ঢুকেছে প্রায় ৪০০০ কোটি টাকা, যা এক নতুন রেকর্ড। এদিকে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচ অর্থাৎ চেন্নাই সুপার কিংস এবং মুম্বই ইন্ডিয়ানের ম্যাচে রেকর্ড সংখ্যক ভিউয়ারশিপ হয়েছে একটি ম্যাচের ক্ষেত্রে।
এই নিয়ে জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিসিসিআই এর কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধামাল বলেছেন, “গত আইপিএল এর থেকে এই বছরের আইপিএল এ প্রায় ৩৫ শতাংশ খরচ কমিয়েছে। এই অতিমারির সময়েও আমরা ৪০০০ কোটি টাকা অর্জন করেছি। আমাদের টিভি ভিউয়ারশিপ প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে। এদিকে আমরা এই বছর সবথেকে বড় ওপেনিং ম্যাচ (চেন্নাই সুপার কিংস বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স) ভিউয়ারশিপের রেকর্ড অর্জন করেছি। যারা আমাদের উপর সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন তারা আমাদের কাছে এসে ধন্যবাদ জানিয়েছে আইপিএল এর আয়োজন করার জন্য। যদি আইপিএল না হত, তাহলে ক্রিকেটারদের গোটা একটি বছর নষ্ট হত।”
এদিকে গত ১৯ সেপ্টেম্বর টুর্নামেন্টের শুরু থেকে ১০ নভেম্বর টুর্নামেন্টের শেষ অবধি একটিও করোনা পজিটিভ কেস ধরা পড়েনি, যা অত্যন্ত বড় ব্যাপার বিসিসিআই এর জন্য। আর এই নিয়েও কথা বলেছেন বিসিসিআই এর কোষাধ্যক্ষ। তিনি জানিয়েছেন, অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিল যে নোভাক জকোভিচের উদ্যোগে হওয়া আদ্রিয়া ট্যুরে অধিকাংশ টেনিস খেলোয়াড়ের করোনা ধরা পড়েছিল, যার মধ্যে ছিলেন খোদ নোভাক। আর এই শুনে আইপিএল আয়োজন নিয়ে কিছুটা দ্বিমতে ছিল বিসিসিআই। কিন্তু শেষ অবধি ভালোভাবেই আয়োজিত হল আইপিএল ১৩।
এই নিয়ে অরুণ ধামাল দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, “নোভাক জকোভিচের করোনা পজিটিভের রিপোর্ট আসার পর, আমাদের মধ্যে কিছুটা অনিশ্চয়তা এসে গিয়েছিল। অনেকেই বলেছিলেন আইপিএল আয়োজন না করার ব্যাপারে। তাদের ভয় ছিল যদি কোনও খেলোয়াড়ের কিছু হয়ে যায়। তিন মাস ধরে চলত আইপিএল। যদিও, জয় শাহ এই বিষয়টিকে আয়োজনের জন্য নিয়ে যেতে বলেছিলেন, উনিই আমাদের মধ্যে সব থেকে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন।”