গতকাল জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর রিপোর্ট অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম দুই টেস্টে কার্যত অনিশ্চিত রোহিত শর্মা ও ইশান্ত শর্মা। এই মুহুর্তে দুই তারকা ক্রিকেটারই বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে নিজেদের চোটের জন্য রিহ্যাব করছেন। এদিকে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব আলোচনায় মেতে উঠেছে, তবে কি রোহিত শর্মা ইচ্ছা করেই অস্ট্রেলিয়া সফরে গেল না?
হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট থাকা সত্ত্বেও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে শেষের দিকের ম্যাচ খেলেন রোহিত। এরপর দুবাই থেকে সরাসরি ভারতীয় দল অস্ট্রেলিয়ায় উড়ে গেলেও রোহিত শর্মা সরাসরি দেশে ফিরে এসেছিলেন। এর কারণ হিসেবে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলীর পরামর্শকে দায়ী করেছিলেন অনেকেই। আবার অনেকেই মনে করেছিলেন, অস্ট্রেলিয়া সফর থেকে বেরিয়ে আসতে ইচ্ছে করে দেশে ফিরেছেন রোহিত। কিন্তু এবার খোদ বিসিসিআই দোষ চাপিয়ে দিল রোহিত শর্মার উপর। যা একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল।
জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, বিসিসিআই এর সূত্র জানিয়েছে যে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড রোহিত শর্মার উপর খুশি নয়। যদি রোহিত শর্মা ফিট হিসেবে থাকার মত আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, তাহলে কেন ভারতীয় দলের সাথে অস্ট্রেলিয়ায় না গিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন রোহিত শর্মা, এমনটাই বক্তব্য বিসিসিআই এর। পাশাপাশি বিসিসিআই এর সূত্র এমনও জানিয়েছে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড জানেই না যে কেউ কি আদৌ রোহিত শর্মাকে ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে আসার জন্য উপদেশ দিয়েছে নাকি সে নিজ উদ্যোগেই এসেছে।
এই নিয়ে বিসিসিআই এর সেই সূত্র বলেছেন, “গত ১২ নভেম্বর দুবাই থেকে ভারতীয় দলের সাথে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার কথা ছিল রোহিত শর্মার। কিন্তু তা না করে রোহিত সিদ্ধান্ত নিয়ে সোজা ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে চলে এসেছেন। বিসিসিআই এর কেউই জানে না যে কে রোহিত শর্মাকে ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে এনেছে। এটা কি রোহিতের নিজস্ব সিদ্ধান্ত?”
চোট থাকা সত্ত্বেও যদি রোহিত শর্মা অস্ট্রেলিয়ায় চলে যেতেন, তাহলে সেখানে ফিট হওয়ার সুযোগ থাকত তার কাছে। কারণ অস্ট্রেলিয়ায় ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকার কারণে রিহ্যাব প্রক্রিয়া সেই সময়ে সেরে ফেলতেন রোহিত। কিন্তু স্রেফ সংযোগ স্থাপনের অভাবেই এই বড় ঝামেলা সৃষ্টি হল ভারতীয় ক্রিকেটে, এমনটাই মনে করছেন বিসিসিআই এর সেই সূত্র। তিনি আরও বলেছেন, “যাই সমস্যা ও ধন্ধ থাকুক না কেন, তা দলের প্রস্তুতিতে বড়সড় ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। বিরাট কোহলিকে দেশে ফিরতেই হবে কারণ সেটি ব্যক্তিগত এবং জরুরি। গত অস্ট্রেলিয়া সফরে রোহিত শর্মাও একই কাজ করেছিলেন। এটা খুবই দুর্ভাগ্যের যে আমাদের দল ভোগান্তিতে থাকবে সামান্য যোগাযোগ স্থাপনের অভাবে।”