ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (সিপিএল) চল কালীন সময় ওয়েন পার্নেল বলে হাতে আঘাত পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে নিউজল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম। পার্নেলের বল ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স ম্যাককুলামের বাম হাতে লাগে। আঘাত এতই তীব্র ছিল যে ম্যাককুলাম মাঠ ছেড়ে হাসপাতালে যেতে বাধ্য হোন। হাসপাতালে যাওয়ার কারন ছিল তার হাতের হাড় ভেঙ্গেছে কিনা তা জানা। দক্ষিণ আফ্রিকার এই বামহাতি মিডিয়াম ফাস্ট বোলার পানেল বার্বাডোস ট্রাইডেন্টসের হয়ে অসাধারন বোলিং করেন নির্ধারিত চার ওভারে ৩১ রানে গুরুত্বপূর্ণ ৩ উইকেট তুলে নিয়ে। তার অসাধারন বোলিং তার দলকে ১৬ রানে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে জিততে সাহায্য করেন। প্রথমে ব্যাটিং করে বার্বাডোস ট্রাইডেন্টস ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৬ রান করলেও পার্নেলের দুর্দান্ত বোলিং এ ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স ১৯ ওভারে ১২০ রানে অল আউট হয়ে যায়।
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিক শাহরুখ খান। যখন ম্যাককুলাম পার্নেলের আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়ার সময় ১৯ বলে ২৬ রান করেছিলেন। আঘাত পেয়ে তাৎক্ষনিক যখন মাঠ ছেড়ে হাসপাতালে যান এক্সে করতে তখন ত্রিনাবাগো নাইট রাইটার্সের স্কোর তখন ২ উইকেটে ৪২ রান এবং ম্যাককুলাম না থাকায় বার্বাডোস ট্রাইডেন্টসের জয় সহজ হয়।
ত্রিনাবাগো নাইট রাইটার্সের অধিনায়ক ডুয়েন ব্রাভো টসে জিতে বার্বাডোস ট্রাইডেন্টসকে ব্যাটিং এ পাঠায়। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই আন্ডারসন ফিলিপ অসাধারন এক বলে ডুয়েন স্মিত। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকে, এক পর্যায়ে ১০ ওভারে ৬২ রানে ৭ উইকেট পড়ে। এরপরে পার্নেলের ৪৪ রানের এক অসাধারন ইনিংসের উপর ভর করে ২০ ওভারে ১৩৬ রান করেন। ওয়েন পার্নেল ২০০৬ সালে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের দক্ষিণ আফ্রিকা দলের পক্ষে খেলেন। এরপর ২০০৮ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মনোনীত হন। প্রতিযোগিতায় তিনি সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ৮.৩৮ রান গড়ে ১৮ উইকেট লাভ করেছিলেন পার্নেল।