২৬২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা লঙ্কানদের শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ। দলীয় ২২ রানে কোনো রান করা কুশাল মেন্ডিসকে প্যাভিলিয়নের পথ ধরান ফিজ। নড়াইল এক্সপ্রেস জোড়া আঘাত হেনে ফিরিয়ে দেন ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠতে থাকা আরেক ওপেনার উপুল থারাঙ্গা এবং মেন্ডিসকে। মাত্র ষাট রানে ৫ উইকেট পড়ে গেলে ধুঁকতে থাকা লঙ্কানদের হাল ধরার চেষ্টা করেন ম্যাথিউস। ৩৪ বলে ১৬ রান করে তিনিও সাজঘরে ফিরে গেলে জয়ের আশা সংকুচিত হতে থাকে শ্রীলঙ্কার। শেষদিকে দিলরুয়ান পেরেরা ২৯ ও সুরাঙ্গা লাকমল ২০ রান করলে জয়ের ব্যবধানই শুধু কমে। ৩৫.২ ওভারে ১২৪ রানে গুটিয়ে যায় হাথুরুর শিষ্যরা।
টাইগার বোলারদের মধ্যে মাশরাফি, মিরাজ, মুস্তাফিজ দুটি করে ও সাকিব রুবেল মোসাদ্দেক ১টি করে উইকেট লাভ করেন।

অন্যদিকে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে লাসিথ মালিঙ্গার গতির কাছে হার মেনে প্রথম ওভারেই লিটন দাস ও সাকিব আল হাসান ফিরে গেলে চাপ ঘিরে ধরে টাইগার ব্যাটসম্যানদের। দ্বিতীয় ওভারে তামিম হাতের কব্জিতে চোট পেলে আরও মলিন হতে থাকে টাইগারদের ব্যাটিং লাইনআপ। তবে সেই চাপকে জয় করে তরুণ মিঠুন ও অভিজ্ঞ মুশফিক দুজন মিলে গড়েন ১৩১ রানের জুটি। দলীয় ১৩৪ রানে মিঠুন ব্যক্তিগত ৬৩ রানে আউট হলে আবারো টাইগারদের ব্যাটিং লাইনে ধ্বস নামে। মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেকের বিদায়ের পর একাই লড়ে যান মুশফিক। শেষদিকে ২২৯ রানে মুস্তাফিজ রান আউট হলে সবাইকে অবাক করে দিয়ে আবারো মাঠে প্রবেশ করেন সব ফরম্যাটেই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ড্যাশিং ওপেনার তামিম। বাম হাতে চোট থাকলেও শুধুমাত্র ডান হাত দিয়েই একটি বল মোকাবেলা করেন তামিম।

ইনিংসের তিন বল বাকি থাকতে মুশফিক তাঁর ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৫০ বলে ১৪৪ রান করে আউট হলে বাংলাদেশের দলীয় রান দাঁড়ায় ২৬১।
লংকানদের পক্ষে মালিঙ্গা চারটি, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা দুটি ও লাকমল, আমিলা আপনসু ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
স্কোরকার্ড
বাংলাদেশ: ৪৯.৩ ওভারে ২৬১/১০।
তামিম ২(৪)*, লিটন ০(৪), সাকিব ০(১), মুশফিক ১৪৪(১৫০), মিঠুন ৬৩(৬৮), মাহমুদউল্লাহ ১(৪), মোসাদ্দেক ১(৫), মিরাজ ১৫(২১), মাশরাফি ১১(১৮), রুবেল ২ (১২), মুস্তাফিজ ১০(১১); মালিঙ্গা ১০-২-২৩-৪, ডি সিলভা ৭-০-৮৮-২।
শ্রীলঙ্কা:.৩৫.২ ওভারে ১২৪/১০।
থারাঙ্গা ২৭(১৬), মেন্ডিস ০(১), পেরেরা ১১(২৪), ডি সিলভা ০(৩), ম্যাথিউস ১৬(৩৪), শানাকা ৭(২২), পেরেরা ৬(৯), দিলরুয়ান ২৯(৪৪), লাকমাল ২০(২৫), আপোন্সো ১(৩১), মালিঙ্গা ৩(৩)*; মাশরাফি ৬-২-২৫-২, মুস্তাফিজ ৬-০-২০-২, মিরাজ ৭-১-২১-২, সাকিব ৯.২-০-৩২-১-; রুবেল ৪-০-১৮-১, মোসাদ্দেক ৩-০-৮-১।
ফলাফলঃ বাংলাদেশ ১৩৭ রানে জয়ী।