সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসা এশিয়া কাপ ২০১৮ এর আসরে ইতোমধ্যে প্রথম রাউন্ডের খেলা শেষে চলছে সেমি ফাইনাল পর্ব। টিম ইন্ডিয়া গ্রূপ পর্বে তাঁদের প্রথম ম্যাচে জয় পেতে কষ্ট হলেও পরের ম্যাচগুলোতে দেখিয়েছে নিজেদের সাফল্য।
সদ্যই ইংল্যান্ড সফর শেষ করে এশিয়া কাপের স্কোয়াড থেকে বিশ্রামে থাকা কোহলি দলের সাথে না থাকায় ম্যাচে কিছুটা প্রভাব পড়লেও তা কাটিয়ে উঠার সক্ষমতা যে রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটারদের তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে প্রতিপক্ষ দলগুলো।
এবারের এশিয়া কাপে ফেভারিটের তকমা গায়ে নিয়ে মাঠে নামা টিম ইন্ডিয়া ট্রফি জিততে পারে যে তিনটি কারণে তা দেখে নেওয়া যাক।
৩. স্পিন জুটি

আরব আমিরাতের স্লো পিচে কুলদিপ যাদব ও যজুবেন্দ্র চহেলর স্পিন জুটি হতে পারে ভারতের এশিয়া কাপ জেতার তুরুপের তাস। এখন পর্যন্ত ২৩টি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচ খেলে কুলদিপ নিয়েছেন ৫১টি উইকেট। তাঁর বোলিং গড় ১৯.৭৬ ও ওভারপ্রতি ইকোনমি ৪.৫৬। তাই তাঁর স্পিন হতে পারে দলের অন্যতম ভরসার প্রতীক।
অন্যদিকে আরেক স্পিনার যজুবেন্দ্র চহেল, ২৮ ম্যাচে নিয়েছেন ৪৮ উইকেট। কোনো দলের ব্যাটসম্যানরা যে এই দুই স্পিনারের হাত থেকে বিন্দুমাত্র ছাড় পাবেন না তা বুঝতে বাকি নেই কারো। এছাড়াও টীমে রয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা, যা ভারতের জন্য প্লাস পয়েন্ট।
২. দুর্বল প্রতিদ্বন্দ্বী

ইতোমধ্যে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছে হংকং ও শ্রীলঙ্কা। বাকি দলগুলোর মধ্যে পাকিস্তান গত কয়কবছর ধরেই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের উপর নির্ভর করা দল। তাই ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের বিদায় করতে পারলেই ভেঙে পড়বে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ।
অন্যদিকে বাংলাদেশের ব্যাটিং স্তম্ভ তামিম ইকবাল ইনজুরিতে পড়ায় দল হয়ে গেছে ভঙ্গুর। পাশাপাশি ইনজুরি থেকে ফিরে মুস্তাফিজ নিজেকে হারিয়েই যেন খুঁজছেন। আরেক প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানের বোলিং লাইনআপে রশিদ খান ও মুজিব উর রহমানের মত বোলার থাকলেও তাঁদের ব্যাটিং লাইনআপে নেই ভালো মানের ব্যাটসম্যান। তাই ভারতের শক্তিশালী বোলিংয়ের বিপক্ষে আফগানরা ধুঁকবে এটাই স্বাভাবিক।
১. টিম ইন্ডিয়ার অভিজ্ঞ খেলোয়াড়

দলে বিরাট কোহলি অনুপস্থিত থাকলেও রয়েছেন প্রাক্তন ক্যাপ্টেন মহেন্দ্র সিং ধোনি, অভিজ্ঞ রোহিত শর্মা ও শিখর ধবনের মত ক্রিকেটাররা। অন্যদিকে আম্বাতি রাইডু ও দীনেশ কার্তিকরা তো রয়েছেনই।
অভিজ্ঞতার মূল্য যে ক্রিকেটে কতটা তা দেখা গিয়েছে হংকংয়ের মুঠো থেকে ম্যাচ বের করে আনার ক্ষেত্রে। হংকং পুরো ম্যাচে ভালো খেললেও শেষপর্যন্ত যে অভিজ্ঞতার কাছেই হেরেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই এই অভিজ্ঞতা প্রতি ম্যাচে কাজে লাগাতে পারলে এশিয়া কাপের এই আসরের ট্রফি যেতেই পারে টিম ইন্ডিয়ার ঘরে।