ভারতীয় দলের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি আর সৌরভ গাঙ্গুলীর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হওয়ার তুলনা হতে থাকে। তারকাদের এই দুই খেলোয়াড়ের মধ্যে পার্থক্য আর সাদৃশ্য জানাতে দেখা যায়। প্রাক্তন ভারতীয় তারকা জোরে বোলার আশিস নেহেরাও মহেন্দ্র সিং ধোনি আর সৌরভ গাঙ্গুলীর অধিনায়কত্বের মধ্যেকার পার্থক্য জানিয়েছেন।
আশিস নেহেরা ধোনি আর গাঙ্গুলীর অধিনায়কত্বের পার্থক্য জানিয়েছেন
আজ যেখানে ভারতীয় ক্রিকেট পৌঁছেছে তাতে মহেন্দ্র সিং ধোনি আর সৌরভ গাঙ্গুলীর অনেক বড়ো হাত রয়েছে। সৌরভ গাঙ্গুলী একটি দল তৈরি করেন যার পর ধোনি সমস্ত আইসিসি খেতাব নিজের নামে করেন। এখন এই দুজনের মধ্যে প্রচুর তুলনা হচ্ছে। যা নিয়ে বলতে গিয়ে আশিস নেহেরা আকাশ চোপড়াকে দেওয়া ইন্টারভিউতে বলেছেন যে,
“মহেন্দ্র সিং ধোনি আর সৌরভ গাঙ্গুলী একদম আলাদা ছিলেন। কিন্তু তারা দুজনেই জানতেন যে নিজেদের খেলোয়াড়দের দিয়ে কীভাবে সর্বশ্রেষ্ঠ প্রদর্শন করাতে হবে। যখন গাঙ্গুলী দলের দায়িত্ব সামলেছিলেন সেই সময় দলে বেশকিছু তরুণ খেলোয়াড় ছিলেন। অন্যদিকে ধোনি যখন দল সামলেছিলেন তো তার কাছে সিনিয়র খেলোয়াড়দের সামলানোর চ্যালেঞ্জ ছিল”।
সৌরভ গাঙ্গুলীর অধিনায়কত্বকে বোঝালেন আশিস নেহেরা
ম্যাচ ফিক্সিংয়ের পর অধিনায়কত্ব সামলানো সৌরভ গাঙ্গুলী দলকে ভালোভাবে সামলেছিলেন। তার দারুণ প্রশংসা করে আশিস নেহেরা বলেছেন যে,
“গাঙ্গুলীর কাছে তরুণ খেলোয়াড়রা ছিলেন যাদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আর উন্নতির প্রয়োজন ছিল। তিনি সমস্ত তরুণ খেলোয়াড়দের সমর্থন করেছেন আর সেই খেলোয়াড়দের সমর্থন করেছেন যাদের তার ভালো মনে হয়েছিল। যখন আমরা ২০০১ এ অস্ট্রেলিয়াকে হারাই তো বিষয়টি বদলে যায় আর এটা গাঙ্গুলীর স্পেশালিটি ছিল যে ও নিজের খেলোয়াড়দের জন্য সকলের সঙ্গে লড়ে যেতেন। ধোনি দ্রুত রাগতেন না। ও বুঝে শুনে সিদ্ধান্ত নিত। ও নিজের খেলোয়াড়দের বেশি সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ওর কোচ গ্যারি কার্স্টেনের সঙ্গে ভালো জুটি ছিল”।
মহেন্দ্র সিং ধোনির প্রশংসা করেছেন আশিস নেহেরা
প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক আর উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মহেন্দ্র সিং ধোনির জমিয়ে প্রশংসা করে তারকা আশিস নেহেরা বলেছেন যে,
“ও যেভাবে শচীন তেন্ডুলকর, বীরেন্দ্র সেহবাগ আর ভিভিএস লক্ষ্মণের মতো সিনিয়র খেলোয়াড়দের সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। ওর অনেক প্রশংসা হওয়া উচিত। ধোনি প্রত্যেক ম্যাচের পর খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলত। তার জন্য ওর হোটেল রুমের দরজা খেলোয়াড়দের জন্য সবসময় খোলা থাকত। যেখানে খাবারের সঙ্গে কথা হত”।