ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ ক্রিকেট জগতের সবচেয়ে বড়ো টি-২০ ক্রিকেট লীগ। এর নামেই স্পষ্ট যে এটা ভারতের লীগ আর এতে ভারতীয়দের নাম যথেষ্ট এগিয়ে থেকেছে। আইপিএল যতই ভারতের হোক আর এর উদ্দেশ্য ভারতীয় খেলোয়াড়দের সামনে আনা হোক, কিন্তু একটি বিষয়ে এখানে বিদেশী তারকাদের কর্তৃত্ব রয়েছে।
আইপিএলের এই মরশুমে ৭টি দলের প্রধান কোচ বিদেশী
আইপিএলের প্রথম শব্দই ইন্ডিয়ান অর্থাৎ ভারতীয়, কিন্তু এখানে ভারতীয়দের না ওপর না তো বিশ্বাস দেখানো হচ্ছে আর না তাদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আর তা হচ্ছে আইপিএলের দলের কোচের পদ নিয়ে। আইপিএলের সমস্ত দলগুলির প্রধান কোচেদের মধ্যে মাত্র একটি দলেরই কোচ ভারতীয়, বাকি সাতটি দলের কোচই বিদেশী। এটা এমন একটা বিষয় যেখানে ভারতীয়দের যোগ্যতাকে কোথাও না কোথাও কম করা হচ্ছে।
অনিল কুম্বলে বললেন, আমি দেখতে চাই বেশি ভারতীয় কোচ
আমরা যদি সমস্ত দলের প্রধান কোচেদের কথা বলি তো কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের কাছেই ভারতের মহান স্পিনার অনিল কুম্বলে কোচ হিসেবে আছেন। বাকি দলগুলির মধ্যে যেমন মাহেলা জয়বর্ধনে (মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স), ট্রেভর বেলিস (সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ), ব্রেণ্ডন ম্যাকালাম (কেকেআর),অ্যাণ্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড (রাজস্থান রয়্যালস), স্টিফেন ফ্লেমিং (সিএসকে), সাইমন কাটিস (আরসিবি) আর রিকি পন্টিং (দিল্লি ক্যাপিটালস) প্রধান কোচ হিসেবে রয়েছেন। আইপিএলের এই মরশুমে সমস্ত দলের হেড কোচ হিসেবে বিদেশী তারকাদের উপরই ভরসা দেখানো হয়েছে। এই বিষয়ে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক আর কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের কোচ অনিল কুম্বলে খুশি নন। তিনি এটা নিয়ে অনলাইন প্রেস কনফারেন্সে বলেছেন,
“আমি আইপিএলে বেশি ভারতীয় কোচ দেখতে চাইব। এটা ভারতীয় রিসোর্সের সঠিক প্রতিবিম্ব নয়। আমি বেশকিছু ভারতীয়দের প্রধান কোচ হিসেবে আইপিএলে দেখতে চাই। প্রধান কোচ হিসেবে শুধু একজন ভারতীয় হওয়া একটা বিড়ম্বনা। আমার মনে হয় কোনো সময় ভারতীয় কোচের সংখ্যা বেশি হবে”।
ক্রিস গেইল আমাদের দলের প্রধান খেলোয়াড় হবেন
এছাড়াও আনিল কুম্বলে কিংস ইলেভন পাঞ্জাব দল নিয়ে বলেছেন যে,
“জৈব সুরক্ষিত পরিবেশের কড়া নিয়মের পালন করে মানসিক আর শারিরীকভাবে ভালো পরিস্থিতি রয়েছে। গেইল এই মরশুমেও নেতৃত্বের গ্রুপে শামিল হবে। যেখানে ওর ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হবে। যেমন শীর্ষক্রমের ব্যাটিং চলাকালীন হয়। আমাদের এখনও প্রধান মাঠের পরিস্থিতিকে দেখতে হবে, কারণ আমরা প্র্যাকটিস করছি। খেলোয়াড় হিসেবেও ক্রিস গেইলের প্রধান ভূমিকা থাকবে। তরুণ খেলোয়াড়রা ওর নেতৃত্বের কৌশল আর অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে চাইবে। ওকে আমরা স্রেফ একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে দেখছি না। ও তরুণ খেলোয়াড়দের বিকশিত করতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকায় থাকবেন। আমি চাই যে ও মেন্টারশিপের ভূমিকায় সক্রিয় থাকুক”।