আম্রপালী গ্রুপ আরো একবার আলোচনার কেন্দ্র চলে এসেছে। সর্বোচ্চ আদালতের আম্রপালী গ্রুপকে নিয়ে শোনানো সিদ্ধান্তে আইসিসির অধ্যক্ষ শশাঙ্ক মনোহরকে নিয়ে একটি বড়ো বিষয় সামনে এসেছে। আম্রপালী গ্রপের এমডি অনিল কিমার শশাঙ্ক মনোহরকে ৩৬ লাখ টাকার পারিশ্রমিক দিয়েছেন যা কিনা ফ্ল্যাট ক্রেতাদের ফাণ্ডের অপব্যবহার করার শ্রেণীতে পড়ে। আপনাদের সকলের জ্ঞাতার্থে জানাই যে আইসিসির চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহরের নাম সেই মানুষদের তালিকায় আসে, যাদের অনিল শর্মা ৮.৭১ কোটি টাকার পারিশ্রমিক দিয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট রিয়েল এস্টেট গ্রুপের বিরুদ্ধে মানি লান্ড্রিঙ্গের মামলায় ইডিকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। কোর্ট কোম্পানি ডায়রেক্টর্সদের এই ঘোটালায় যুক্ত পেয়ে একে ফান্ডের অপব্যবহার বলেছে।
শশাঙ্ক মনোহরকে দেওয়া হয়েছে ৩৬ লাখ টাকার পারিশ্রমিক
সুপ্রিম কোর্টের মতে ডাইরেক্টর্স আর আধিকারিকরা মিলে ফ্ল্যাট ক্রেতাদের টাকায় ভুল প্রয়োগ করেছেন। শশাঙ্ক মনোহরকেও এই টাকার মধ্যে থেকেই ৩৬ লাখ টাকার পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছে। পেশায় উকিল শশাঙ্ক মনোহর আইএএনএসকে নিজের বয়ানে বলেছেন,
“নির্দেশক আর আধিকারিকরা এক সঙ্গে মিলে ফ্ল্যাট বায়ার্সদের টাকাকে ভুলভাবে অন্য অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেছে। আমি চার বছর আগে পাটনা হাইকোর্টে আম্রপালী কোর্টের তরফে একটি কেস লড়তে গিয়েছিলাম, এছাড়া আমার সঙ্গে ওদের আর কোনো সম্পর্ক নেই”।
শর্মার দেখরেখে হয়েছে টাকার ফেরবদল
শশাঙ্ক মনোহরের অ্যাকাউন্টে টাকা অনিল শর্মার দেখরেখে ট্রান্সফার করা হয়েছিল। শশাঙ্ক মনোহরের নাম যদিও আদেশে দুবারই এসেছে। প্রথমবার সেই মানুষদের তালিকায় যাদের অ্যাকাউন্টে ভুলভাবে ফাণ্ড ট্রান্সফার করা হয়েছে আর দ্বিতীয়বার তখন যখন অনিল শর্মা ফরেন্সিক অডিটরদের সাহায্যে নিজের দ্বারা পারিশ্রমিক দেওয়া ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট আম্রপালী গ্রুপের উপর অ্যাকশন নিয়ে কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন রদ করে দিয়েছে। এখন রাজ্য দ্বারা সঞ্চালিত করা ন্যাশনাল বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন লিমিটেড এই গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত প্রোজেক্ট সম্পূর্ণ করবে।