চলতি মাসের ২৭ তারিখ থেকে শুরু হবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বহু প্রতীক্ষিত সেই সিরিজ। তিনটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি২০ সিরিজের পর অবশেষে আসবে সেই দীর্ঘ প্রতীক্ষার টেস্ট সিরিজ। চার ম্যাচের এই টেস্ট সিরিজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য। কিন্তু ভারতীয় দলের পক্ষে বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিরাট কোহলির অনুপস্থিতি। সন্তানসম্ভবা স্ত্রী অনুষ্কা শর্মার পাশে থাকতে অ্যাডিলেডে হওয়া দিন রাতের টেস্ট হওয়ার পর দেশে ফিরে যাবেন কোহলি। ফলে বাকি তিন টেস্ট নিজেদের সেরা ব্যাটসম্যানকে বাদ দিয়েই খেলতে হবে ভারতকে।
এর ফলে অস্ট্রেলিয়া বেশ বড়সড় সুবিধা পাবে তা মানছেন অনেকেই। গত অস্ট্রেলিয়া সফরে স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারের না থাকা ভুগিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে, আর এবার কার্যত সেই একই অবস্থা হতে চলেছে ভারতের। টিম ইন্ডিয়ায় বিরাট কোহলির যোগদান কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা ব্যাখ্যা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অ্যালান বর্ডার। পাশাপাশি ২-১ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে যাবে, এমনটাই মনে করছেন বর্ডার।
ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে অ্যালান বর্ডার বলেছেন, “আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী অস্ট্রেলিয়ার জয়ের ব্যাপারে, বিশ্বাসটা আরও বাড়ে যখন তারা নিজেদের দেশে খেলে। একটাই বিষয় যা অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে যাবে তা হল বিরাট কোহলি শুধুমাত্র প্রথম টেস্টটা খেলবেন। আমার মনে হয় এটা ভারতের পক্ষে বড় ধাক্কা। একজন ব্যাটসম্যান ও একজন নেতা হিসেবে উনি অপরিবর্তনীয়। আশা করছি অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সিরিজের রেজাল্ট ২-১ হবে।”
এর আগেও একাধিক বার বিরাট কোহলিকে নিয়ে প্রশংসার বন্যা বইয়ে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এই কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান। এবং এখনও, বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানকে প্রশংসায় ভাসিয়ে দিয়েছেন বর্ডার। বিরাট কোহলির মানসিকতা ও খেলার ধরণ নিয়ে বর্ডার বলেছেন, “বিরাট কোহলি একজন প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক মানুষ এবং আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে খেলেন। দেখুন, আমার দারুণ লাগে উনি যেভাবে খেলেন। আগ্রাসন ও উদ্দীপনার সাথে তিনি এই খেলাটি খেলেন। ভারত একটি দল হিসেবে এই বিষয়গুলিকে মিস করবে। বিরাট একজন স্পেশাল খেলোয়াড়, একজন সিরিয়াস প্রতিভা এবং এই নয়া যুগের ভারতীয় দলের একজন সদস্য – এই ভাবেই আমি দেখি। যেভাবে আধুনিক ধারার খেলাটি খেলছে ভারত, তাদের মধ্যে একটি ইতিবাচক মানসিকতা রয়েছে। আর বিরাট কোহলি এই পথে দলকে দারুণভাবে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে। আমি ওনার বড় অনুরাগী।”
তিন ফর্ম্যাটে যেভাবে সাবলীলতার সাথে খেলেন বিরাট কোহলি, তা দেখে মুগ্ধ ১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপজয়ী অসি অধিনায়ক। এই নিয়ে তিনি বলেছেন, “আমার ভালো লাগে যেভাবে বিরাট বিভিন্ন ফর্ম্যাটে নিজের খেলা বদলে ফেলেন। আমার মনে হয়, যদি আপনারা আমার সময়ের খেলার দিকে তাকান, যেখানে আমি সুনীল গাভাস্কারের বিরুদ্ধে খেলছি, তখন আমরা এক ধরণের ক্রিকেটই হাজির করতে পারতাম। কিন্তু যদি বিরাটকে দেখেন, টি২০, ওয়ানডে এবং টেস্ট ক্রিকেটে একইভাবে সাফল্য অর্জন করেছেন। আর এই কারণে আমি বিরাটকে এত উচ্চমানের ক্রিকেটার হিসেবে আমি মনে করি।”