সম্প্রতি ভারতের বিপক্ষে চতুর্থ টেস্টের পর সব ধরণের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক অ্যালিস্টেয়ার কুক। চলমান পাঁচ ম্যাচ টেস্ট সিরিজের ফাইনাল ম্যাচই হবে কুকের ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ।
গত সোমবার অবসরের ঘোষণা দিয়ে দিনটিকে একটি দুঃখের দিন হিসেবে আখ্যা দেন তারকা এ ক্রিকেটার। তিনি বলেন, “যদিও এটা একটি দুঃখের দিন। তারপরও আমি খুশি। আমি আমার সামর্থের সবটুকু দিয়েছি আর কিছু বাকি নেই। আমি প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি পেয়েছি। ইংল্যান্ডের বেশ কিছু তারকা ক্রিকেটার সঙ্গে খেলার সুযোগ পেরেছি, যে কারণে আমি গর্বিত।”

আরো যোগ করেন, “আমি সারা জীবন ক্রিকেটকে ভালোবেসেছি। ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে খেলার অনুভূতিটা কতটা বড় ব্যাপার সেটা আমি জানি। এ কারণেই আমি মনে করেছি এটাই সঠিক সময় নতুন প্রজন্মের তরুণদের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।”
এদিকে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অসবরে গেলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই ওপেনার। অবসর ঘোষণার পর তিনি চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ইংল্যান্ডের জনপ্রিয় কাউন্টি ক্লাব এসেক্স দলের সাথে। আগামী তিন বছরের জন্য তিনি ক্লাবটির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন চুক্তিবদ্ধ।
৩৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বর্তমানে প্রস্তুতি নিচ্ছেন নিজের ক্যারিয়ারের ১৬১ তম ম্যাচ তথা শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার জন্য। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি আগামী শুক্রবার ইংল্যান্ডের ওভালে শুরু হবে।
কুক এসেক্সের হয়েই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক করেছিলেন। ২০০৩ সালে নটিংহ্যামশায়ারের বিপক্ষে ম্যাচে অভিষিক্ত হন তিনি। এরপর ২০১৭ সালে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরমসেন্সে নিজের দল এসেক্সকে সাহায্য করেন কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের টাইটেল জিততে।

এদিকে, এসেক্সের প্রধান কোচ এন্থনি ম্যাকগ্রাথ বলেছেনন, “কুক তরুণদের জন্য “একজন রোল মডেল” ছিলেন।”
তিনি যোগ করেন, “তিনি বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে একজন এবং তিনি আমাদের জন্য মাঠ এবং মাঠের বাইরে উভয় জায়গায়ই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটিং দিয়ে যেকোনো একটি ম্যাচের ফলাফল পরিবর্তন করার ক্ষমতা আছে তাঁর এবং প্রত্যেকেই তাদের দলে এমন একজনকে চায়।”
উল্লেখ্য যে, ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে টেস্ট ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ১৬০ ম্যাচ খেলে ১২,২৫৪ রান করেছেন অ্যালিস্টেয়ার কুক। পাশাপাশি হাঁকিয়েছেন ৩২টি শতক ও ৫৬টি অর্ধশতক। অন্যদিকে, ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ৯২টি ম্যাচ খেলে ৫টি সেঞ্চুরি এবং ১৯টি ফিফটির সাহায্যে ৩৬.৪০ গড়ে ৩ হাজার ২০৪ রান সংগ্রহ করেছেন ইংল্যান্ডের এই ওপেনার। আর টি-টোয়েন্টির ফরমেটে ৬১ রান করেছেন ৪টি ম্যাচ খেলে।