ভারত আর দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলা হচ্ছে। যেখানে ভারত ২টি ম্যাচ জিতে নিয়েছে, এর সঙ্গেই এই সিরিজের উপরও নিজেদের কব্জা করে ফেলেছে। শেষ টেস্ট ম্যাচে ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাত কোহলি দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন, কিন্তু এ সবের মধ্যেই অতিথি দল নিজেদের সমর্থকদের কারণে সমালোচিত হচ্ছে, যে কারণে এখন দক্ষিণ আফ্রিকার চিফ নিজেদের খেলোয়াড়দের পক্ষ নিয়েছেন।
ভারতের কাছে হারার পর বাড়ল সমস্যা
এমনিতে তো দক্ষিণ আফ্রিকার দল ভারতের সঙ্গে খেলা হওয়া টি-২০ ম্যাচে সিরিজ ড্র করেছিল, কিন্তু টেস্ট সিরিজে তারা কিছুই করতে পারেনি। ভারত দক্ষিণ আফ্রিকাকে টেস্টে ২-০ হারিয়ে দিয়েছে, যারপর যেখানে একদিকে ভারতীয় সমর্থকরা উল্লাসে ফেটে পড়েছেন তো অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার সমর্থকরা যথেষ্ট নিরাশ, যে কারণে তারা দলের খেলোয়াড়দের যথেষ্ট সমালোচনা করেছেন। এমনিতেও কিছু বছর ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রদর্শন যেমন দেখা যাচ্ছে তাতে তো যে কোনো সমর্থকই তাদের উপর ক্ষুব্ধ হবে, এই অবস্থায় বিশ্বকাপে তাদের খারাপ ফর্ম তাদের সমালোচনার প্রধান কারণ। এই সবের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার চিফ থবাঙ্গ মোরো নিজের বয়ান দিয়েছেন।
থবাঙ্গ মোরো প্রেস কনফারেন্সে বলেছেন,
“এটা দক্ষিণ আফ্রিকার দলের পরিবর্তনের সফর। যে কোনো টপ টিমের বিরুদ্ধে তাদের হোম কন্ডিশনে খেলা সবসময়ই বড়ো চ্যালেঞ্জিং হয়। বিশেষ করে এমন সময় যখন আমরা নিজেদের দলের নতুনভাবে তৈরি করছি”।
দলকে ট্র্যাকে আনতে লাগবে সময়
এই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে দক্ষিণ আফ্রিকার দল বেশকিছু পরিবর্তন করছে, এই অবস্থায় এই দলের কোচের সিস্টেম সরিয়ে কেবল দলে ম্যানেজারের নিযুক্তি করা হয়েছে। এই অবস্থায় চিফের বিশ্বাস যে আগামী সিরিজে তাদের দল নিজেদের ফর্মে ফিরবে কারণ তাদের কাছে এখনো বেশকিছু দুর্দান্ত খেলোয়াড় রয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার চিফ বলেছেন যে,
“গত দু বছরে এবি ডেভিলিয়র্স, হাসিম আমলা, মর্নি মর্কেল, ডেন স্টেইনের মত বড়ো খেলোয়াড়রা ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন, এই সমস্ত খেলোয়াড় সবমিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৪৫০র বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন, আমরা রাতারাতি এই বড়ো খেলোয়াড়দের রিপ্লেসমেন্ট খুঁজতে পারব না, আমাদের নতুন জেনারেশনকে সেটল করার জন্য সামান্য সময় দিতে হবে, যেমন জিনিসগুলো সঠিক ট্র্যাকে আনতে সামান্য সময় লাগে। আগামী সিরিজে যখন ইংল্যান্ডের দল দক্ষিণ আফ্রিকার সফর করবে তো আপনারা অবশ্যই উন্নতি দেখতে পাবেন”।