পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদি বেশ কয়েকবার ভারতের ব্যাপারে বির্তকিত বয়ান দিয়েছে আলোচনার কেন্দ্র উঠে এসেছেন। এর মধ্যে তিনি জম্মু-কাশ্মীরের ব্যাপারে আরও একটি বয়ান দিয়ে আবারও শিরোনামে উঠে এসেছেন। আসলে পাকিস্তানের প্রাক্তন অলরাউন্ডার শাহিদ আফ্রিদি এখন বয়ান দিয়েছেন যে তিনি কাশ্মীরে একটি ক্রিকেট অ্যাকাডেমি স্থাপন করতে চান, কারণ তিনি কাশ্মীরের বাচ্চাদের ক্রিকেট খেলায় আনতে ইচ্ছুক।
শাহিদ আফ্রিদির বিতর্কিত বয়ান
পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদি মঙ্গলবার স্থানীয় একটি হোটেলে কাশ্মীর প্রিমিয়ার লীগের আগামি আয়োজনের ব্যাপারে বলতে গিয়ে বলেন যে, “আমি কাশ্মীরি বাচ্চাদের ক্রিকেটে আনব আর সেখানে একটা ক্রিকেট অ্যাকাডেমি স্থাপন করব। আমার দ্বারা তৈরি করা ভিত ভালো প্রতিভাদের সমর্থন করব। কাশ্মীর পৃথিবীর স্বর্গ, ভারতের অধীন কাশ্মীর (lok)এ ভারত অত্যাচারের সমস্ত স্তর পার করে ফেলেছে। যদি আমরা বিশ্বের কোথাও অন্যায় হতে দেখি তো আমাদের আওয়াজ তোলা উচিত। নিশ্চিতভাবেই সময় আসবে যখন কাশ্মীর মুক্ত হবে। কাশ্মীরি আধিকারিকদের জন্য বারবার নিজেদের আওয়াজ তোলা শাসকের দায়িত্ব”।
আফ্রিদি হলেন কাশ্মীর প্রিমিয়ার লীগের ব্র্যাণ্ড অ্যাম্বাসডর
আগামিদিনে কাশ্মীরে শুরু হতে চলা কাশ্মীর প্রিমিয়ার লীগে শাহিদ আফ্রিদিকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসডর করা হয়েছে। আফ্রিদির ফাউন্ডেশন এই লীগ আয়োজন করতে সাহায্য করছে। আফ্রিদি কাশ্মীর প্রিমিয়ার লীগের অংশ হওয়ার পর বলেছেন যে তিনি এই লীগের অংশ হতে যথেষ্ট উৎসুক। তিনি এই ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে বলেন যে, “আমি কেপিএলের জন্য যতটা সম্ভব ততটা ভালো কিছু করার চেষ্টা করব। আমার মন চায় যে আমি প্রত্যেক কেপিএল ফ্রেঞ্চাইজির সঙ্গে খেলি। আমি স্বয়ং কেপিএল খেলার জন্য যে শর্ত দিয়েছি সেটা এটাই যে কাশ্মীরে একটি ক্রিকেট অ্যাকাডেমি স্থাপিত করা হবে”।
শাহিদ আফ্রিদি করেছেন মানুষের কাছে অ্যাপিল
কাশ্মীর প্রিমিয়ার লীগের ব্র্যাণ্ড অ্যাম্বাসডর হওয়ার পর আফ্রিদি বলেছেন যে আমি সকলের কাছে কেপিএলকে সম্পূর্ণ সমর্থন করার অনুরোধ করছি। আমি খেলা ছাড়াও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও কাশ্মীরে কাজ করব। যদি ম্যাচ কাশ্মীরের ভেতর হয়, তো এতে ফায়দা হবে। আমার জন্য লীগের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসডর হওয়া সম্মানের কথা। এই অবসরে কেপিএলের চেয়ারম্যান আরিফ মালিক বলেছেন যে লীগের জন্য ট্রয়াল ৫ জানুয়ারী মীরপুর,৬ জানুয়ারি বাগ আর ৭ জানুয়ারি মুজফফরাবাদে হবে। কয়েক হাজার তরুণ এই ট্রায়ালে অংশ নেবেন। কেপিএলের মাধ্যমে তরুণ খেলোয়াড়রা ঘরোয়া দল আর তারপর পাকিস্তান সুপার লীগে খেলবেন। কেপিএল চলাকালীন ফান্ড রাইজ করারও আয়োজন করা হবে।