২০১০ সালে আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপ দিয়ে আইসিসির বড় ইভেন্টে খেলার যাত্রা শুরু করে এশিয়ার সম্ভাবনাময় ক্রিকেট খেলুড়ে দেশ আফগানিস্তান। তবে সময় যত গড়িয়েছে নিজেদের আরো শাণিত করতে সক্ষম হয়েছে তাঁরা। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে যে আফগানিস্তান ক্রিকেটে এশিয়ার পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হবে তাতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।

ইতোমধ্যে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া দলটি আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার টিকিট কেটে ফেলেছে অভিজ্ঞ জিম্বাবুয়ে ও আয়ারল্যান্ডের মত দলকে ছিটকে দিয়ে।
ইংল্যান্ডে বসতে যাওয়া ক্রিকেটের এই মহারণে যে তিনটি দলকে হারিয়ে দিতে পারে আফগানরা দেখে নেওয়া যাক সেই দলগুলোর তালিকা।
১. শ্রীলঙ্কা

সবশেষ আইসিসি টি-২০ বিশকাপ জেতা দল শ্রীলঙ্কার ভঙ্গুর অবস্থা দেখে অনেকেই হতাশ। দিলশান, জয়াবর্ধনে, সাঙ্গাকারার মত ক্রিকেটাররা অবসরে যাওয়ার পর তাঁদের শূন্যস্থান এখনো পূরণ করতে পারেনি লঙ্কানরা। যদিও দীনেশ চান্দিমাল, থিসারা পেরেরা ও এঞ্জেলো ম্যাথিউসের মত তারকারা দলে রয়েছেন তাও এটা যে যথেষ্ট নয় সেটা কারো অজানা নয়। তাই এই দল নিয়ে আগামী বছর বিশ্বকাপের আসরে অংশগ্রহণ করলে এশিয়া কাপের পুনরাবৃত্তি হলে কিছুই করার থাকবে না লঙ্কানদের।
২. ওয়েস্ট ইন্ডিজ
আফগানদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ক্যারিবিয়ানরা যে দুটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখবে সেগুলো হল, প্রথমত মোহাম্মদ নবীর নেতৃত্বে ২০১৬ আইসিসি টি-২০ বিশকাপে ম্যাচ হার ও দ্বিতীয়ত ২০১৯ আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে আফগানদের বিপক্ষে সাত উইকেটের বড় হার। অন্যদিকে এশিয়া কাপে ভাল খেলা জ্বালানি হিসেবে কাজ করবে আফগানদের তা মোটামুটিভাবে নিশ্চিত।
১. বাংলাদেশ

বাছাইপর্বে টাইগারদের বিপক্ষে বড় জয় ও পরের রাউন্ডে জয়ের কাছে গিয়ে হার এসবকিছুই যুদ্ধবিধ্বস্থ দেশটির আত্মবিশ্বাস যোগাবে সামনের বিশ্বকাপে। ইংলিশ কন্ডিশনে বাংলাদেশ দল খুব একটা সুবিধা করতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও আফগানিস্তান তাঁদের সেরাটা উজাড় করে দিয়ে টাইগারদের সাথে যে লড়াই করবে তা বলা যায় দ্বিধাহীনভাবেই। তাছাড়া আফগানিস্তানের বিপক্ষে একদিনের ক্রিকেটে হেড টু হেডেও বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে নেই আফগানিস্তান।