ক্রিকেটে সবকিছু বদলে গিয়েছে, কিন্তু যে একমাত্র জিনিসটি বদলায়নি। আজো কোনো ব্যাটসম্যান ইয়র্কার বলে রান করতে ভীষণই কম সফল হন। দ্রুত আর সঠিক ইয়র্কার বল যে কোনো ব্যাটসম্যানকেই সমস্যায় ফেলে দিতে পারে। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার আর বর্তমান কমেন্টেটর আকাশ চোপড়া এখন জানিয়েছেন বিশ্বের ৬জন ইয়র্কার কিং কারা।
আকাশ চোপড়া জানালেন ৬জন ইয়র্কার কিংয়ের নাম
ইয়র্কার করা এখ ভীষণই বড়ো শিল্প মনে করা হয়। যেখানে বেশকিছু খেলোয়াড়কে অনেক বেশি দক্ষ বলা হয়। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার আর বর্তমান সময়ের সফল কমেন্টেটর আকাশ চোপড়া নিজের মত অনুযায়ী সেই খেলোয়াড়দের নাম জানিয়েছেন যাদের ইয়র্কার কিং বলা যেতে পারে। তিনি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিয়ো মারফত ইয়র্কার করার ব্যাপারে এই ৬ জনের নাম জানিয়েছেন যারা শীর্ষে রয়েছেন। ৬ নম্বরে তিনি ইংল্যান্ডের প্রাক্তন জোরে বোলার অ্যাণ্ড্রু ফ্লিনটপকে রেখেছেন। এছাড়াও ৫ নম্বরে অস্ট্রেলিয়ার তারকা মিচেল স্টার্কের নাম রেখেছেন। যিনি এখনো খেলছেন। এই দুজনই যে কোনো সময় ইয়র্কার করার ক্ষমতা রাখেন। অন্যদিকে ৪ নম্বরে বর্তমান সময়ে ভারতীয় দলের প্রধান জোরে বোলার জসপ্রীত বুমরাহের নাম রয়েছে। যিনি এখন সর্বশ্রেষ্ঠ।
এক নম্বরে রয়েছেন এই তারকা খেলোয়াড়
এছাড়াও পাকিস্তানের তারকা জোরে বোলার ওয়াকার ইউনিসকেও ইয়র্কার কিং মনে করা হয়। যখন বল রিভার্স সুইং হত তো এই বোলার এক ওভারের সবকটি বলই ইয়র্কার করার ক্ষমতা রাখতেন। তাকে আকাশ চোপড়া ৩ নম্বরে রেখেছেন। ২ নম্বরেও পাকিস্তানেরই জোরে বোলার আর ইয়র্কার ইউনিসের বন্ধু ওয়াসিম আক্রমের নাম রেখেছেন। তিনি প্রত্যেকটি বল ইয়র্কার করতে পারেন। ওয়াসিম আক্রাম যে কোনো বল ইয়র্কার করার ক্ষমতা রাখতেন। যে কারণে তিনি এক সময় এক নম্বর বোলারও থেকেছেন। অন্যদিকে আকাশ চোপড়া এক নম্বরে ইয়র্কার কিং আর শ্রীলঙ্কার তারকা লাসিথ মালিঙ্গার নাম রেখেছেন। টি-২০ ফর্ম্যাটে তার সফলতার রহস্যই ইয়র্কার থেকেছে। যে কারণে আজো তিনি সবচেয়ে ভালো বোলার।
আইপিএলে দেখা যেতে পারে আরো ইয়র্কার বোলার
বেশকিছু তরুণ খেলোয়াড় ভবিষ্যতে এই ইয়র্কার কিংসের তালিকায় যোগ দিতে পারেন। যার মধ্যে জোফ্রা আর্চার আর সিদ্ধার্থ কৌলের নাম আসতে পারে। আইপিএল ২০২০ চলাকালীনও আরো বেশকিছু জোরে বোলার সামনে আসতে পারেন যারা ইয়র্কার করার দক্ষতা হাসিল করতে চান। ২৯ মার্চ থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকা আইপিএলকে করোনা ভাইরাসের প্রভাবের কারণে স্থগিত করতে হয়েছে। এখন এই টুর্নামেন্ট ১৫ এপ্রিলের পর খেলা হবে। সরকার এখনো করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় খুঁজে চলেছে।