করোনা ভাইরাসের কারণে সব মানুষই নিজেদের বাড়িতে বন্দী। কিন্তু এর মধ্যে সমস্ত সেলিব্রেটি খেলোয়াড়রা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজেদের সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। প্রাক্তন ক্রিকেটার আর কমেন্টেটর আকাশ চোপড়া এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে যথেষ্ট অ্যাক্টিভ। এখন আকাশ চোপড়া পাকিস্তানের তারকা ব্যাটসম্যান রামিজ রাজার সঙ্গে কথাবার্তা বলতে গিয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং সৌরভ গাঙ্গুলীর মধ্যে একটি যুগকে বেছেছেন।
সৌরভ গাঙ্গুলী তৈরি করেছেন খেলোয়াড়দের
করোনা ভাইরাসের কারণে বাড়িতে বন্দী খেলোয়াড় এবং সেলিব্রেটিদের কাছে একমাত্র সোশ্যাল মিডিয়াই মাধ্যম যার সাহায্যে তারা সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। এর মধ্যে আকাশ চোপড়া পাকিস্তানী ক্রিকেটার রামিজ রাজার সঙ্গে ইউটিউবের মাধ্যমে কথা বলতে গিয়ে সৌরভ গাঙ্গুলীর যুগকে বেছেছেন। সেই সঙ্গে এর বেশকিছু কারণও জানিয়েছেন যে কেনো তিনি গাঙ্গুলীর যুগকে বেছেছেন। আকাশ চোপড়া বলেছেন,
“আমি সৌরভ গাঙ্গুলীর যুগকে বাছব। ম্যাচ ফিক্সিং একটা বড়ো প্লট ছিল। সেখান থেকে বেরিয়ে আসা, দ্বিতীয়বার সকলের বিশ্বাস হাসিল করা আর একটা ম্যাচ উইনিং দল তৈরি করা। বিশেষ করে গাঙ্গুলীর প্রতিভা চেনার ক্ষমতা অদ্ভুত কাজ করেছে”।
সৌরভ গাঙ্গুলীর কাছে ছিল প্রতিভা চেনার মতো চোখ
ভারতীয় দলের প্রকাতন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীকে জুহুরীও বলা হত। আসলে গাঙ্গুলী নিজের অধিনায়কত্বে টিম ইন্ডিয়াকে যতই কোনো আইসিসি খেতাব জেতাতে না পারুন, কিন্তু তাকে জেতানোর মতো বড়ো বড়ো খেলোয়াড় অবশ্যই তৈরি করেছেন। আকাশ চোপড়া আগে বলেন,
“তিনি রাহুল দ্রাবিড়, শচীন তেন্ডুলকর, অনিল কুম্বলে আর ভিভিএস লক্ষ্মণের মতো বড়ো খেলোয়াড়দের নিয়ে এগিয়েছেন। এরপর তিনি যুবরাজ সিং, আশিস নেহেরা, জাহির খান, বীরেন্দ্র সেহবাগ, মহম্মদ কাইফ, হরভজন সিংয়ের মতো খেলোয়াড়দের নিয়ে এসেছেন। সৌরভ গাঙ্গুলীর অধিনায়কত্বেই ভারত বিদেশে জিততে শুরু করে। আমরা অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডে সিরিজ ড্র করেছি। পাকিস্তানে জয় হাসিল করেছি”।
ধোনির জন্য মালাই খাওয়ার মতো বিষয়
মহেন্দ্র সিং ধোনি ভারতীয় ক্রিকেট দলের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক। মাহী ভারতকে ৩টি আইসিসি খেতাব জিতিয়েছেন। ২০০৭এ টি-২০ বিশ্বকাপ, ২০১১য় আইসিসি বিশ্বকাপ, আর ২০১৩য় আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। আকাশ চোপড়া ধোনির যুগের কথা বলতে গিয়ে বলেন,
“ধোনির যুগ সামান্য মালাই খাওয়ার মতো বিষয় ছিল, কারণ তিনি এই দলকে সেখান থেকে আগে এগিয়ে নিয়ে যান”।