এশিয়া মহাদেশের শক্তিশালী দেশগুলিকে নিয়ে প্রতি ২ বছর অন্তর এশিয়া কাপের (Asia Cup) আয়োজন করে থাকে বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ামক সমস্থা আইসিসি। গতবারের এশিয়া কাপের আসর করোনা মহামারীর কারণে ভেস্তে যাবার কারণে এই বছর এশিয়া কাপের আয়োজন করা পুনরায় সম্ভব হয়েছে এবং এই বছর এশিয়া কাপের আসর শ্রীলংকার মাটিতে হবার কথা থাকলেও পরবর্তীতে সেটা দুবাইয়ের মাটিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই বছরের শেষে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে t20 বিশ্বকাপের আসর এবং সেই প্রতিযোগিতার কথা মাথায় রেখেই এই বছরের এসডিএ কাপের আসর ক্রিকেট ইতিহাসে সব থেকে ছোট ফরম্যাটে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। এই বছরের এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের খেলা শেষ এবং শেষ চারে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা এবং আফগানিস্তান দলের লড়াই চলবে। যেহেতু আসন্ন বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে প্রতিটা দল নিজেদের দলকে শক্তিশালী করে তুলছে তাই দেখে না যাক এই বছরের এশিয়া কাপের বিজয় মুকুট কাদের মাথায় উঠতে চলেছে।

আইসিসি র নিয়ম অনুযায়ী এশিয়া কাপ যেহেতু ২টি ফরম্যাটে করা হয়ে থাকে তাই এই বছর t20 ফরম্যাটে খেলা হচ্ছে বলে আগামী ২০২৪ এর এশিয়া কাপ একদিবসীয় খেলা হবে সে কথা নিশ্চিত ভাবে বলা চলে। ২০২৩ সালেই রয়েছে একদিবসীয় ক্রিকেট বিশ্বকাপ তাই প্রতিটা দলে বিশ্বকাপের পর অনেক পরিবর্তন আসতে চলেছে। যেমন বিশ্বকাপের পর বেশ কিছু অভিজ্ঞ ক্রিকেটার দল ছাড়তে পারেন আবার দলগুলি তাদের জায়গাতে বেশ কিছু তরুণ ক্রিকেটারদের দলের সাথে অন্তর্ভুক্ত করতে চলেছে বলে মনে করা যাচ্ছে। বর্তমানে যেহেতু ক্রিকেট বিশ্বে প্রচুর ছোট ছোট এবং বিখ্যাত লীগ প্রতিযোগিতা হয়ে চলেছে সেই দিক থেকে বিচার করে এটাও বলা যেতে পারে বেশির ভাগ ক্রিকেটার ক্রিকেটের যেকোনো দুটি ফরম্যাটকে বেছে নিতে চলেছে যাতে করে তারা দীর্ঘ্যদিন ক্রিকেটের ময়দানে নিজেদের পারফর্মেন্স করে যেতে পারেন। আমরা এখানে এমন ৫ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে আলোচনা করবো যারা পরের এশিয়া কাপে দলের হয়ে মাঠে নাও নামতে পারেন বলে মনে করা যাচ্ছে।
মাহমুদউল্লাহ

প্রতিভাবান ব্যাটিং অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ বাংলাদেশের হয়ে সাদা বলের ক্রিকেটে অনেক নজির গড়েছেন। তিনি যেমন ব্যাট হাতে দলের প্রয়োজনে বিপক্ষ বোলারদের সামনে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন ঠিক তেমনি বল হাতেও মাঝের ওভারগুলোতে বিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের শান্ত রেখেছেন। কিন্তু বর্তমানে এই তারকা ব্যাটসম্যান একদিবসীয় ফরম্যাটে দীর্ঘ্যদিন ধরে সেই ভাবে ফর্মে নেই বললেই চলে কারণ ২০১৫ সালে তার ব্যাট থেকে শেষ শতরান এসেছিল তারপর থেকে তিনি সেই ভাবে নিজেকে প্রমান করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ৩৬ বছর বয়সী এই ডানহাতি অলরাউন্ডার বাংলাদেশ দলে ফিরে এলেও তার বর্তমান ফর্ম এবং বয়েসের কারণে পরবর্তী এশিয়া কাপের মঞ্চে জায়গা করতে পারবেন না বলেই মনে করা যাচ্ছে।