আইপিএল একমাত্র খেলা যেখানে সমস্ত খেলোয়াড় খেলার পূর্ণ সুযোগ পায়। এখানে খেলোয়াড়রা তাদের প্রতিভা পরিমার্জন করার অনেক সুযোগ পান। এই লিগে এমন খেলোয়াড় রয়েছে যারা জাতীয় দলের অংশ নন। শুধু এটিই নয় এমনকি এ জাতীয় খেলোয়াড়রা রয়েছেন যারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটিও টি- ২০ ম্যাচ খেলেনি। তবে তারা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে নিজের দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। দেখেনি এমনই পাঁচ ক্রিকেটার-
মায়াঙ্ক আগরওয়াল: আইপিএল দল পাঞ্জাব কিংসের ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়াল এই মরসুমে মাত্র সাত ম্যাচে ২৬০ রান করেছেন। শুধু এটিই নয় আইপিএল-এর তার ৯৫ টি ম্যাচে ১৯০০ -রও বেশি রান তাঁর নামে রয়েছে। তার স্ট্রাইক রেট ১৩৫। শুধু তাই নয়, আইপিএলের ১৪ তম আসরে তিনি দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে অধিনায়কত্বও করেছেন। এই ম্যাচটি এই মরসুমের শেষ খেলে যাওয়া ম্যাচ ছিল। যেখানে দলের নিয়মিত অধিনায়ক কেএল রাহুল খারাপ স্বাস্থ্যের কারণে খেলতে পারেননি। এমন পরিস্থিতিতে দলের অভিজ্ঞ ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এই ম্যাচে অধিনায়কের ভূমিকা পালন করে তিনি অপরাজিত ৯৯ রানও করেছিলেন। তবে তিনি এখনও জাতীয় দলের হয়ে টি- ২০ খেলার সুযোগ পাননি।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়: আইপিএলের প্রথম মরসুমে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে অধিনায়কত্বের অভিষেক হওয়া সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় মোট ৫৯ টি ম্যাচ খেলেছেন এবং ১৩৯৯ রান করেছেন। শুধু তাই নয় গঙ্গোপাধ্যায় প্রায় ১০৭ এর স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ভারতীয় দলের হয়ে একটিও টি- ২০ ম্যাচে অংশ নেননি।
অনিল কুম্বলে: আইপিএল দল পাঞ্জাব কিংসের বর্তমান কোচ অনিল কুম্বলে তিন বছর ধরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে নিজের বোলিং শৈলীর পরিচয় দিয়েছেন। ২০০৯ সালে একটি ম্যাচে পাঁচ রানে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। আইপিএলে কুম্বলে ৪২ ম্যাচে ৪৫ উইকেট নিয়েছেন। কুম্বলে ব্যাঙ্গালোর দলের অধিনায়কও ছিলেন। তিনি প্রতিবার সেরা টি- ২০ খেলোয়াড় হিসাবে নিজেকে প্রদর্শিত করেছেন। এই মুহুর্তে তিনি পাঞ্জাব দলের হেড কোচ। তা সত্ত্বেও তিনি কোনও আন্তর্জাতিক টি- ২০ ম্যাচে নিজের বোলিং দক্ষতা দেখানোর সুযোগ পাননি।
ভিভিএস লক্ষ্মণ: ভেরি ভেরি স্পেশাল লক্ষ্মণ আইপিএল দল ডেকান চার্জারের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০০৮ সালে যখন আইপিএল শুরু হয়েছিল তখন লক্ষ্মণ দলের অধিনায়ক ছিলেন। দলটি তার অধিনায়কত্বে ভাল করেছে। ২০ টি আইপিএল ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরি করে ২৮২ রান করেছেন লক্ষ্মণ, কিন্তু আন্তর্জাতিক টি- ২০ ম্যাচ খেলেননি। তবে তার অধিনায়কত্বের অধীনে তিনি মাত্র একটি ম্যাচ জিতেছেন। অধিনায়কত্ব করেছেন ছয়টি ম্যাচে।
করুণ নায়ার: এই মরসুমে একটিও ম্যাচ খেলেনি কলকাতা নাইট রাইডার্সের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান করুণ নায়ের। তার আগে তিনি ১০ টি হাফ সেঞ্চুরির সাহায্যে ৭৩ ম্যাচে ১৪৮০ রান করেছেন। আইপিএলে পাঁচটি দলের হয়ে খেলা করুণ নায়ার ২০১৩ সালে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে তিনটি ম্যাচ অধিনায়ক ছিলেন। যার মধ্যে তিনি জিতেছেন দুটি এবং হেরেছেন একটি ম্যাচে। করুণ নায়ার মোট ১৩৮ টি টি- ২০ ম্যাচে অংশ নিয়েছে। তবে একটি ম্যাচও আন্তর্জাতিক নয়।