ক্রিকেটকে বলা হয়ে থাকে ভদ্রলোকের খেলা। কিন্তু ক্রিকেটাররা প্রায়শই মাঠ এবং মাঠের বাইরে নিজেদের গতিবিধির কারণে সমালোচিত হন। আধুনিক ক্রিকেটে অর্থের যোগান এবং গ্ল্যামারের ছোঁয়া লাগার পর থেকেই এমন কিছু ঘটনা ঘটতে দেখা গিয়েছে যার কারণে ক্রিকেটের মত জনপ্রিয় খেলাতেও লেগেছে কলঙ্কের ছোঁয়া। একজন খেলোয়াড়ের জীবন সাধারণত কাটা উচিৎ অনুশাসনের মধ্যে দিয়ে, কিন্তু ক্রিকেটে এমনও বেশকিছু খেলোয়াড় দেখা গিয়েছে যারা এই অনুশাসন ভেঙে বেপরোয়া এবং বাঁধনহীন জীবনযাপন করে নিজেদের কেরিয়ার শেষ করেছেন।
যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই তারকারা সফলতা তো পেয়েছেন দ্রুত কিন্তু সেই সফলতা তাদের মাথায় চড়ে যাওয়ার কারণে তারা দ্রুতই শিকার হয়েছেন বদভ্যাসে। এই ক্রিকেটারদের মধ্যে এমন কিছু ক্রিকেট তারকাও রয়েছেন যারা মদ্যপানের কারণে এতটাই নেশাসক্ত হয়ে পড়েছিলেন যে মদ্যপ অবস্থাতেই তারা খেলার মাঠে নেমে পড়েছিলেন। আমরা এই বিশেষ প্রতিবেদনে এমন ৫জন খেলোয়াড়ের কথা জানাব যারা মদ্যপান করেই মাঠে নেমে পড়েছিলেন।
১. গ্যারি সোবার্স
ওয়েস্টইন্ডিজের কিংবদন্তী ক্রিকেটার স্যার গ্যারফিল্ড সোবার্সের গুনতি হয় ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে মহান অলরাউন্ডারদের মধ্যে। ব্যাটিং এবং বোলিং ক্রিকেটের এই দুই বিভাগেই তিনি এমন প্রদর্শন করেছিলেন যে সারা ক্রিকেট বিশ্ব তাঁকে মান্যতা দিয়েছে, এমনকী ক্রিকেটের জন্মভূমি বলে পরিচিত ইংল্যান্ডের তরফেও তাকে নাইট উপাধিও দেওয়া হয়। কিন্তু নিজের ক্রিকেটের মক্কা বলে পরিচিত লর্ডসে এক ইন্টারভিউ চলাকালীন খোলসা হয়েছিল যে একটি ম্যাচে সোবার্স মদ্যপ অবস্থায় মাঠে নেমেছিলেন।
স্বয়ং গ্যারি সোবার্স নিজেই জানিয়েছিলেন যে লর্ডসে খেলা হওয়া নিজের কেরিয়ারের শেষ টেস্টে তিনি মদ খেয়ে মাঠে নেমেছিলেন। যদিও এই ম্যাচে সোবার্স অপরাজিত ১৫ রানের একটি ইনিংসও খেলেছিলেন। স্যার গ্যারফিল্ড সোবার্স ওয়েস্টইন্ডিজের হয়ে ৯৩টি টেস্ট ম্যাচ খেলেন, যেখানে তিনি ২৬টি সেঞ্চুরি সহ ৫৭.৭৮ রানের গড়ে মোট ৮০৩২ রান করেন। এছাড়াও নিজের বাঁহাতি বোলিংয়ে তিনি ২৩৫টি উইকেটও নিয়েছিলেন।