ক্রিকেট বিশকাপের জোয়ারে ভাসছে পুরো বিশ্ব। ৩০ মে ২০১৯ থেকে শুরু হতে যাওয়া এই মহারণে স্বগতিক দেশ হিসেবে রয়েছে ক্রিকেটের জনক ইংল্যান্ড। ২০১৫ বিশকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় তাঁরা এবার মাঠে নামবে নিজেদের মুকুট ধরে রাখতে। তবে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স কী তাই বলে?
এমন কিছু সমীকরণ নিয়েই এবার দেখা যাক যে দেশগুলো নিজেদের ঘরে বিশ্বকাপ তোলার ক্ষেত্রে এগিয়ে।
৫. অস্ট্রেলিয়া
দুই সেরা ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারকে ছাড়া অস্ট্রেলিয়া দল যে কতটা নাজুক তা আর বুঝতে বাকি নেই কোনও ক্রিকেটপ্রেমিদের। তবে গত কিছুদিন ধরে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটে বেশ ভালোই সারা ফেলেছেন তরুণ ক্রিকেটাররা। টপ অর্ডারে অভিজ্ঞ অ্যারোন ফিঞ্চের সাথে দেখা যেতে পারেন তরুণ ডি’ আর্কি শর্ট ও তিন নাম্বারে থাকতে পারেন ট্রাইভস হেড।
অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপ্টেন টিম পেইন উইকেটের পেছনে গ্লাভস হাতে দৃঢ়তার পরিচয় দিলেও তাঁর ব্যাটিং নিয়ে রয়েছে দুশ্চিন্তা। তবে এই দুশ্চিন্তা দূর করতে পারেন অ্যালেক্স ক্যারি কিংবা পিটার হ্যান্ডসকম্ব। ফিনিশার হিসেবে দেখা যেতে পারে গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েলকে পাশাপাশি এই পজিশনে বাজির ঘোড়া হিসেবে রয়েছেন শন মার্শও।
অস্ট্রেলিয়ান দলের বোলিং আক্রমণে পেস বিভাগে দেখা যেতে পারে মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, বিলি স্ট্যানলেক, অ্যান্ড্রু টাই এবং স্পিনে যাদু দেখাতে প্রস্তুত রয়েছেন নাথান লিয়ন। আর তা ছাড়া যদি কোনো কারণে স্মিথ এবং ওয়ার্নার বিশ্বকাপের আগে পুনরায় দলের সাথে যোগ দেন তাহলে শিরোপার দাবি করতেই পারে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
৪. নিউজিল্যান্ড
ক্যান উইলিয়ামসনের নেতৃত্বে থাকা কিউই দলের একাধিক ক্রিকেটার ইংল্যান্ডের কাউন্টি খেলার ফলে ক্রিকেটে বিশ্বকাপের এই আসরেও তাঁরা পেতে পারে কন্ডিশনের বাড়তি সুবিধা।
টপ অর্ডারে গত বিশ্বকাপে দ্বিশতক হাঁকানো গাপটিলের পাশাপাশি থাকবেন রস টেলর, লুক রনকি তাছাড়া টম লাথামও থাকতে পারেন এই পজিশনে। অন্যদিকে পেস আক্রমণে প্রতিনিধিত্ব করবেন ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদির মত বিধ্বংসী বোলাররা পাশাপাশি গতির ঝলক দেখা যেতে পারে ম্যাট হেনরির হাত থেকেও। স্পিন আক্রমণভাগে থাকতে পারেন ইশ শোধির মত ভেল্কি দেখানো বোলার। তাই গতবারের রানার্সআপরা এবার তাই একটু এগিয়েই থাকবে।
৩. ভারত
বড় কোনো টুর্নামেন্টে বরাবরই ফেভারিটের তালিকায় থাকা ভারত ২০১৯ বিশ্বকাপে নির্ভর করবে দুই স্পিন যাদুকর কুলদিপ যাদব ও যুযবেন্দ্র চাহালের উপর। পেস বোলিংয়ে আর শক্তিশালী ভারতের আক্রমণভাগ যেখানে থাকবেন জাসপ্রিত বুমরাহ, ভুবনেশ্বর কুমার, মোহাম্মদ শামি ও শার্দুল ঠাকুররা। ডেথ ওভারে দারুণ বল করা বুমরাহ ইংলিশ কন্ডিশনের সুবিধা যে কাজে লাগাবেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
ব্যাটিং অর্ডারে রোহিত শর্মা ও শিখর ধবন ওপেনিং করলে তিনে নামবেন ক্যাপ্টেন কোহলি। ফিনিশার হিসেবে মহেন্দ্র সিং ধোনির পাশাপাশি থাকতে পারেন হার্দিক পান্ডিয়া। তাই মিডল অর্ডারে সঠিক কম্বিনেশন খুঁজে পেলে টিম ইন্ডিয়া চমক দেখাতেই পারে।
২. ইংল্যান্ড
সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিবেচনা করলে ঘরের মাঠে একটু বেশিই এগিয়ে থাকবে ইংলিশরা। টপ অর্ডারে জেসন রয় ও অ্যালেক্স হেলস ওপেনিং করার পর তিন, চার, পাঁচ, ছয় নাম্বারে যথাক্রমে দেখা যেতে পারে জো রুট, মরগান, স্টোকস, বাটলারকে।
বোলিং আক্রমণে বিশ্বকাপ মাতাতে প্রস্তুত রয়েছেন মার্ক উড, বেন স্টোকস, ডেভিড উইলি ও আদিল রশিদ। সবমিলিয়ে ঘরের মাঠে ওয়ানডে ফরম্যাটের এই আসরে এগিয়ে থাকবে ইংল্যান্ড।
১. পাকিস্তান

২০১৭ আসরে কোনোমতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কোয়ালিফাই করলেও শেষপর্যন্ত কাপ জিতে নেয় পাকিস্তানই। পাকিস্তানের পেস বোলিং আক্রমণে রয়েছেন মোহাম্মদ আমির এবং হাসান আলির মত তারকা বোলাররা। অন্যদিকে আরেক পার্ট টাইম স্পিনার শাদাব খানতো রয়েছেনই।
ব্যাটিং অর্ডারে রয়েছেন ফখর জামান, বাবর আজম, ইমাম উল হক ও বিধ্বংসী সরফরাজ খানের মত ক্রিকেটাররা। তাই পাকিস্তানকে ফেভারিট হিসেবে মানা যায় দ্বিধাহীনভাবে।