দক্ষিণ আফ্রিকার দল ভারত সফরে এসে গিয়েছে। দুই দলের মধ্যে তিন ম্যাচের টি-২০ আর তিন ম্যাচেরই টেস্ট সিরিজ খেলা হবে। এর শুরু ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে হচ্ছে। টেস্ট সিরিজের জন্য ভারতীয় দলের ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। টি-২০ সিরিজের জন্য আগেই ভারতীয় দলের ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল। দলে নির্বাচকরা বেশ কিছু চমকে দেওয়ার মত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আসুন আপনাদের এ ব্যাপারে জানানো যাক।
৩. উমেশ যাদবকে বাদ দেওয়া
জোরে বোলার উমেশ যাদবকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ভারতের হয়ে শেষ টেস্ট ম্যাচ উমেশ অস্ট্রেলিয়ায় খেলেছিলেন। এরপর তাকে ওয়েস্টইন্ডিজে একটিও ম্যাচ খেলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তা সত্ত্বেও তাকে দল থেকে বাইরের রাস্তা দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি ওয়ানডে আর টি-২০তেও ভারতীয় দল থেকে বাইরেই রয়েছেন। উমেশ ভারতে নিজের শেষ টেস্ট গত বছর ওয়েস্টইন্ডিজের বিরুদ্ধে খেলেছিলেন। ওই ম্যাচে তিনি ১০টি উইকেট নিয়েছিলেন। ভারতের পিচে জোরে বোলারদের জন্য রিভার্স সুইং হয় আর উমেশ যাদব এতে দক্ষ। তা সত্ত্বেও তকে দল থেকে বাদ দেওয়া চমকে দেওয়ার মত।
২. অভিমন্যু ঈশ্বরণকে সুযোগ না দেওয়া
ইন্ডিয়া এ আর ঘরোয়া ম্যাচে লাগাতার রান করা অভিমন্যু ঈশ্বরণকে নির্বাচকরা আবারও উপেক্ষা করেছেন। তাকে দলে জায়গা দেওয়ার দাবী যথেষ্ট ছিল কিন্তু তা সত্ত্বেও তাকে জায়গা দেওয়া হয়নি। দলীপ ট্রফির ফাইনালে ইন্ডিয়া রেডের হয়ে খেলে তিনি ইন্ডিয়া গ্রিনের বিরুদ্ধে ১৫২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এই বছর মে মাসে ইন্ডিয়া এ দলের হয়ে খেলে শ্রীলঙ্কা এ দলের বিরুদ্ধে তিনি ২৩৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। তা সত্ত্বেও তাকে দলে জায়গা দেওয়া হয়নি। ভারতকে দক্ষিণ আফ্রিকার পর বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও ঘরের মাঠে খেলতে হবে আর ও সিরিজের মধ্যেই পৃথ্বী শয়ের ব্যানও শেষ হয়ে যাবে। এই অবস্থায় ঈশ্বরণের রাস্তা আরো মুশকিল হয়ে যেতে পারে।
১. ঘরোয়া টেস্টে দুই উইকেটকিপার
টেস্ট সিরিজের জন্য ঋষভ পন্থের পাশাপাশি ঋদ্ধিমান সাহাকেও দলে নির্বাচিত করা হয়েছে। দুই খেলোয়াড়কে প্রধান উইকেটকিপার হিসেবে দলে জায়গা দেওয়া হয়েছে। ঘরোয়া টেস্ট সিরিজে সম্ভবতই কখনো ১৫ সদস্যের দলে দুই উইকেটকিপারকে শামিল করা হয়। সাহা চোট থেকে প্রত্যাবর্তন করেছেন কিন্তু তাকে ওয়েস্টইন্ডিজে কোনো টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। ভারতের পিচে স্পিন বোলাররা যথেষ্ট সাহায্য পান এই অবস্থায় পন্থের কিপিং এখনো সন্দেহের তালিকায় রয়েছে। ওয়েস্টইন্ডিজের বিরুদ্ধে তিন স্পিনারদের বলে ক্যাচ ফেলেছিলেন। তা সত্ত্বেও ঘরোয়া সিরিজ হওয়ার কারণে কোনো একজন উইকেটকিপারকেই দলে শামিল করা উচিৎ ছিল। দলে ১২তম খেলোয়াড় হিসেবে ফিল্ডিংয়ের ভাল বিকল্প পাওয়া যেত।